প্রতিবেদন: পিছনের দরজা দিয়ে হিমাচল প্রদেশের ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে নিজেরাই বিপর্যয়ের মুখোমুখি হল বিজেপি। কংগ্রেসের অন্তর্কলহের সুযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবির হটাতে চেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী সুকবিন্দর সিং সুখোকে। কিন্তু অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল সেই স্বপ্ন। এবারে দেখা গেল, উপদলীয় কোন্দলের শিকার হয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত হল সেই গেরুয়া শিবিরই। উপনির্বাচনে ৩টি আসনের মধ্য ২টি আসনেই পরাজিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল। ডেরা এবং নালাগড়-দুটি আসনেই বিজেপিকে হারতে হয়েছে নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণেই।
আরও পড়ুন-আবার রক্তাক্ত মণিপুর, জঙ্গিদের গুলিতে হত সিআরপিএফ জওয়ান
নালাগড় আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা হরপ্রীত সাইনি। ১৩,০২৫ ভোট টেনে নিয়ে তিনি প্রকৃত অর্থেই বাড়াভাতে ছাই দিয়েছেন বিজেপির। ফলে বিজেপি প্রার্থী কে এল ঠাকুর কংগ্রেস প্রার্থী হরদীপ সিং বাওর কাছে হেরে গিয়েছেন ৮৯৯০ ভোটে। একইভাবে ডেরা আসনটিতেও গেরুয়া দল চরম ধাক্কা খেয়েছে দলের বিক্ষুব্ধদের কাছে। এখানে পুরনোদের উপেক্ষা করে বিজেপি প্রার্থী করেছিল মাত্র মাসখানেক আগে দলে যোগ দেওয়া হোসিয়ার সিংকে। ফলে প্রচণ্ড চটে যান প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির প্রবীণ নেতা রমেশচাঁদ ধাওয়ালা। প্রকাশ্যেই দলকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ডাক দেন তিনি। যার অনিবার্য পরিণতি বিজেপি প্রার্থীর পরাজয়। হিমাচল প্রদেশে বিজেপির সবচেয়ে বড় ধাক্কা বদ্রীনাথ আসনে। অযোধ্যার পরে পবিত্র তীর্থক্ষেত্র বদ্রীনাথও যে মুখ ফেরাবে তা ভাবতেও পারেনি গেরুয়া নেতৃত্ব। আসনটি গেরুয়া শিবিরের হাত থেকে এবারে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। অসহায়ভাবে তাকিয়ে দেখল গেরুয়া নেতৃত্ব। ম্যাঙ্গালৌর আসনটিও চরম শিক্ষা দিল তাদের।