প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই ‘জাগোবাংলা’ উৎসবসংখ্যা স্টক শেষ। পুনর্মুদ্রণের পরেও আর অবশিষ্ট নেই। ফলে স্টলগুলি বা বিক্রেতাদের কাছে শেষ হয়ে গেলে এই বছর আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যে প্রবল উৎসাহ, উদ্দীপনায় পাঠক-পাঠিকারা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা উৎসবসংখ্যা সংগ্রহ করছেন, তা অভাবনীয়। কলকাতা-সহ সব জেলায় এই পুজোর মরশুমে ‘জাগোবাংলা’র স্টল বসেছে। এতে থাকছে উৎসবসংখ্যা। থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের সম্ভার। পুজো উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই উদ্বোধন হয়েছে স্টলের। কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহু স্টলে এর সঙ্গে অন্যান্য সাহিত্য ও প্রবন্ধের বই থাকছে। বহু এলাকায় এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে অন্য আকর্ষণ। উত্তর কলকাতায় সুকিয়া স্ট্রিট মোড়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেসের স্টলে থাকছে ‘দিদি শাড়ি’, ‘এবি টি-শার্ট’ ও গেঞ্জি। বিক্রি হচ্ছে হু হু করে। বস্তুত পুজোর কাজের পাশাপাশি এবার এই স্টল নিয়ে মেতে উঠেছে তৃণমূল পরিবার।
আরও পড়ুন :পুজোয় “মমতাময়ী” ক্যান্টিনে নিখরচায় অসহায়দের জন্য মাংস-ভাতের আয়োজন তৃণমূল নেতার
সুস্থ সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার চলছে। তার সঙ্গেই চলছে ‘জাগোবাংলা’ স্ট্যান্ড চালুর কাজ। ইপেপার, পিডিএফের পাশাপাশি এবার কলকাতায় যেহেতু মুদ্রিত দৈনিক সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে, তাই পাঠকদের সুবিধের জন্য বহু এলাকায় স্ট্যান্ড শুরু হচ্ছে। শিয়ালদহে তো ‘জাগোবাংলা পথগ্রন্থাগারের’ও উদ্বোধন হয়েছে। অন্য একাধিক দলও তাদের বইয়ের স্টল করেছে। সিপিএমের স্টলগুলিতে ভাটার টান। এবার তেমন আকর্ষণীয় প্রকাশনাও নেই। বরং এসইউসি কর্মীরা কিছু এলাকায় তাঁদের পার্টির বইপত্র নিয়ে বসেছেন। বিজেপির এই ধরনের সুস্থ উদ্যোগ কার্যত দেখাই যাচ্ছে না। তারা সল্টলেকে হল ভাড়া করে নিজেদের পুজো নিয়ে দুই গোষ্ঠীর ঝগড়ায় মেতে।