প্রতিবেদন : পাশ্চাত্যে পরীক্ষার এই প্রথা চালু হয়েছিল অনেক আগেই। ইভ্যালুয়েশনের এই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি খুব দ্রুত অর্জন করেছিল গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। আস্থা জুগিয়েছিল পড়ুয়াদের মনে। এবারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেও চালু হতে চলেছে ‘ওপেন বুক ইভ্যালুয়েশন’। যার মোদ্দা কথা, বই খুলেই পরীক্ষা দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। অবশ্যই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এবং নজিরবিহীন। সিদ্ধান্ত ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। এই ধরনের পরীক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে-বিপক্ষে অজস্র যুক্তি থাকলেও এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে পড়াশোনার খুব গভীরে না ঢুকতে পারলে সামনে বই খোলা থাকলেও পরীক্ষায় মোটেই সুবিধে করা যায় না। মনোবিজ্ঞান বলছে, ওপেন বুক ইভ্যালুয়েশনের মধ্যে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অনেক নিখুঁত হয়। এখানেই শেষ নয়, পড়ুয়াদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষাব্যবস্থার বেশ কিছুটা সরলীকরণ করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ১০০ নম্বরের বদলে ৭০ নম্বরের পরীক্ষা এবং পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৪ ঘণ্টা। এই ৩টি প্রস্তাবের উপরে ৮ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে বিভাগীয় প্রধানদের। তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের উন্নয়নে নজর জেলা পরিষদের বাজেটে, গ্রামীণক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ