যাদবপুরের উপাচার্যের অনুযোগ, টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র

কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আর্থিক সংকটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য করছে। কেন্দ্রের অনুদান ছিটেফোঁটাও আসছে না।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আর্থিক সংকটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য করছে। কেন্দ্রের অনুদান ছিটেফোঁটাও আসছে না। বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় বলেই কি এই বঞ্চনা? সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ। সেই নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হওয়ায় অসন্তুষ্ট উপাচার্য।

আরও পড়ুন-শিক্ষা দফতরের নির্দেশ, স্কুলের নোটিশ বোর্ডে রাখতে হবে শিক্ষকদের বায়োডাটা

শুক্রবার রাতে সুরঞ্জনবাবু জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতির জন্যই যাদবপুরের সংকট। তাঁর বক্তব্য, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ভুল ব্যাখ্যা। আমি সবসময়ই বলি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষের শীর্ষে উঠতে পারত না, যদি না রাজ্য সরকার সাহায্য করত। এই সংকট কাটাতে কমিটি গড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। খুব দ্রুত কমিটি বসছে বৈঠকে।
চিঠির শুরুতেই উপাচার্য শিক্ষাক্ষেত্রে যাদবপুরের সাম্প্রতিক সাফল্যের নজির উল্লেখ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিয়ের কথা বলেছেন। বলেছেন কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ের কথাও। এই সাফল্য ধরে রাখতে গিয়ে তিনি যে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন তা চিঠিতে তুলে ধরে লেখেন, বিগত কয়েক বছরে, অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছি। বিশেষত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাদবপুরকে সরকারের অনুদানের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। কিন্তু, কেন্দ্রের অনুদান কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে।

আরও পড়ুন-জগদ্ধাত্রী পুজো: চন্দননগরে বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রী

রাজ্যের শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্রের থেকে অর্থসাহায্য না মেলায় বাধ্য হয়েই প্রাক্তনীদের চিঠি লিখেছেন উপাচার্য। অভিজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, প্ল্যানিং কমিশনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটা অনুদান পাওয়া যেত। সেই অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিন সুরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সংকট কাটাতেই তিনি প্রাক্তনীদের সাহায্য চেয়েছেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতোই। সুরঞ্জন বলেন, আইআইটিগুলিও সাম্প্রতিক বছরে প্রাক্তনীদের থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। যাদবপুর একমাত্র স্টেট ইউনিভার্সিটি যেখানে প্রাক্তনীদের অর্থসাহায্য মেলেনি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমি প্রাক্তনীদের কাছ থেকেই অর্থসাহায্য চেয়েছিলাম। উল্লেখ্য, এখন বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ ৪৫-৫০ কোটি টাকার মতো। রাজ্য সরকার দেয় ২০ কোটি। বাকি টাকা কেন্দ্র কার্যত দিচ্ছে না।

Latest article