পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) চিরাচরিত আচার, রীতি হঠাৎ থমকে গেল। মন্দিরে নিয়ম হল প্রাতঃরাশের ভোগ সকাল ৮.৩০ মিনিট নাগাদ জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয়। কিন্তু সেই ভোগ বিকেল ৫.৩০ মিনিটের পর দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হল? জানা গিয়েছে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সেবায়েতদের একাংশ ধর্ণায় বসেছিল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এক সেবায়েতের বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যায়।
আরও পড়ুন-একাধিক কর্মসূচি, ট্রেনে মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনায় মুখ্যমন্ত্রী
২০১৭ সালে সেই সেবায়েত নিজের জাতির থেকে ‘নিচু’ জাতির এক মহিলাকে বিয়ে করায়, তিনি মন্দিরের রীতি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করা হয়, যদিও সেটা অনেক আগেই। বিয়ের পরে তার তার মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সেই সেবায়েত গর্ভগৃহে ঢুকে জগন্নাথ দেবের শ্রীবিগ্রহ স্পর্শ করেন তিনি। এই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। মন্দিরের রত্ন সিংহাস ও শ্রীবিগ্রহ শুদ্ধিকরণ হয়। ৯ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে জগন্নাথদেবকে ভোগ অর্পণ করা হয়। যদিও দর্শনার্থীদের সমস্যা হয়নি খুব একটা।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
অভিযুক্ত সেবায়েত শঙ্খমিত্র শৃঙ্গারি যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। শুক্রবার তিনি গর্ভগৃহে বিগ্রহের সাজসজ্জার দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারপরেই শুরু হয় বাকিদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ। ২০১৭ সালে এক জ্যোতিষীর কন্যাকে শঙ্খমিত্র বিয়ে করেছিলেন। সেই থেকেই শুরু হয় সমস্যা। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, শুক্রবার গর্ভগৃহ থেকে তাকে বের করে দুপুরে মন্দিরের গর্ভগৃহে মহাস্নান রীতি পালন করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।