কোটা গ্রামের জাগ্রত বড়মা

তিনি বলেন, বাড়ির সদস্যরা ৮২ বছর ধরে এই প্রথা মেনে আসছেন। পরিবারের প্রধান কর্তা নিজের হাতেই গড়ে তোলেন দেবী প্রতিমা।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গঙ্গাতীরে পাওয়া কালীপ্রতিমা ভক্তিভরে বাড়িতে এনেছিলেন বুদবুদের কোটা গ্রামের শক্তিসাধক মনোহর ভট্টাচার্য। আজ থেকে ৩২০ বছর আগের সেই ঘটনা পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করে যান তিনি। সেই থেকে কোটা গ্রামের এই কালীকে সকলে ‘বড়মা’ বলে জানেন। গ্রামের প্রতিটি মানুষের ভক্তি ও বিশ্বাসের মেলবন্ধনে আজও একইরকম নিষ্ঠায় পূজিত হয়ে চলেছেন ভট্টাচার্য বাড়ির বড়মা।

আরও পড়ুন –ব্রাত্য মাটির প্রদীপ, গ্রামেও এখন পুজো সাজে টুনির আলোয়

দেবীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে পরিবারের বর্তমান কর্তা নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, তখনকার দিনে কাছাকাছি গঙ্গা বলতে ছিল কাটোয়ায়। স্থানীয় মানুষ সেখানে গঙ্গাস্নানে যেতেন। মনোহরবাবুও গঙ্গাস্নানে গিয়ে ঘাটে স্নান করে উঠেই দেখতে পান বিশালাকৃতি কালীমূর্তি। এত বড় মূর্তি দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। সেদিন রাতেই দেবী কালিকা তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন, ‘তোর বাড়িতে আমাকে নিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা কর। আমি এখন থেকে সেখানেই থাকব।’ স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেই বিশালাকার কালীমূর্তিটি তিনি বহু কষ্টে কোটা গ্রামে নিয়ে আসেন। চলতে থাকে দেবীর নিত্যপুজো। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা বংশানুক্রমে দেবীর পুজো করতে থাকেন। বর্তমানে বাইশ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটি নিজের হাতেই গড়েন নির্মলেন্দুবাবু।

আরও পড়ুন –সন্ন্যাসজীবন বেছে নিলেন ভূগোলের অধ্যাপিকা

তিনি বলেন, বাড়ির সদস্যরা ৮২ বছর ধরে এই প্রথা মেনে আসছেন। পরিবারের প্রধান কর্তা নিজের হাতেই গড়ে তোলেন দেবী প্রতিমা। প্রতিমা গড়া হয় মাচার উপর বসে। কারণ অত উঁচু মূর্তিতে নাগাল পাওয়া যায় না। পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে সাহায্য করেন। নির্মলেন্দুবাবু নিজেই দেবীর পুজোও করেন। কোটা গ্রামের বড়মা অত্যন্ত জাগ্রত বলে গ্রামবাসীদের বিশ্বাস।

Latest article