সোমনাথ বিশ্বাস, ঝাড়গ্রাম: কুর্মিদের মুখোশ পরেছে বিজেপির ষড়যন্ত্রকারীরা। ওরাই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে হামলা করছে। ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। কারা এর পিছনে পুরোটা পরিষ্কার। ব্যবস্থা হবে। লোধাশুলির অধিবেশন থেকে কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন, কুর্মি আন্দোলনের নাম নিয়ে কিছু লোক বর্বর আচরণ করছে। রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর গাড়ির উপরও আক্রমণ করছে। আহত হচ্ছেন। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে জনপ্লাবন
পাথর মেরে, হামলা করে স্মারকলিপি দিতে চায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ঐতিহাসিক সিঙ্গুর আন্দোলন করেছেন। টানা ২৬ দিন। একটা ইটের টুকরোও ছুঁড়তে হয়নি। তাহলে এখানে কেন এই অসভ্যতা? সকলে বুঝতে পারছেন। কুর্মি নেতা অজিত মাহাত শুক্রবার গভীর রাতে জানান, এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি। কুর্মি আন্দোলনকে বদনাম করতে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন ক্রমশ দানা বাঁধছে, তখন কুর্মিদের বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-জরিমানায় স্থগিতাদেশ
ষড়যন্ত্রকারী বোঝার পরেও তাদের সঙ্গে কথা বলতে অভিষেক গাড়ি থেকে নেমে হাঁটছিলেন গড় শালবনিতে। কিন্তু যারা কথা বলবে তারা ক্রমশ পিছোচ্ছিল। অভিষেকের মন্তব্য, কেন পিছোচ্ছিল? অভিষেক বলছেন, এর আগেও তো অনেকে আমাকে গ্রাম দেখার অনুরোধ করেছেন, রাস্তা দেখার অনুরোধ করেছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে গিয়েছি। কোনও সমস্যা হয়নি। আমি তো কুর্মিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু এখানে দাবি একটা, দশটা গ্রুপ। আন্দোলনের নামে ঝাড়গ্রামকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে। আমি নিশ্চিত, এদের মধ্যে কুর্মিরা নেই। একজোট হয়ে এইসব চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। দেখেছেন মুখে জয় শ্রীরাম স্লোগান, ছুঁড়ছে মদের বোতল। ওদের নেতারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি দিন। যদি না করেন বোঝা যাবে স্পষ্ট মদত আছে। কুর্মিদের মুখোশ পরেছে বিজেপির ষড়যন্ত্রকারীরা। চেষ্টা করছে আন্দোলনকে হিংসাত্মক করতে। যারা মদত দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিকার নিয়ে আন্দোলন একশোবার করবেন। কিন্তু ইট-পাটকেল প্রমাণ করছে সিপিএম হার্মাদ আর বিজেপির জল্লাদদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এদিন ঘটনার কথা অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীকে জানান।