শীতের (Winter) মরশুমে বাড়বে পর্যকের সংখ্যা। অতএব সেজে উঠছে রাজ্যের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্র। এই অবস্থায় বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নয়া উদ্যোগ নিল জলদাপাড়া (Jaldapara) জাতীয় উদ্যান। গভীর জঙ্গলে মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার কড়া নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২১৬.৫১ বর্গ কিলোমিটারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যামেরায় কোনও কিছু এড়িয়ে যাবে না। তাই বন দফতরের কর্তাদের কাছে মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা প্রযুক্তি একমাত্র ভরসা।
আরও পড়ুন-দাবানল থেকে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ল্যান্ডমাইন ফাটল
এতদিন বন দফতরের কর্মীরা নজরদারি চালাত জঙ্গলে। কিন্তু জঙ্গলে রেইকি করতে কুনকি হাতির পিঠে যেতে হয় বনকর্মীদের যা বেশ সময় সাপেক্ষ। ফলে সব কাজ গুছিয়ে করা সম্ভব হয় না। মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা জঙ্গলের সব জায়গার ছবি এবং ভিডিয়ো নিখুঁতভাবে তুলে দিতে সক্ষম। মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে সম্পূর্ণ কাজ অনেক কম সময়ে হয়ে যাবে। তাই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে চারটি আধুনিক প্রযুক্তির মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যদিও বন দফতর সূত্রে খবর গোটা জঙ্গলে আরও ক্যামেরা লাগানো হবে।
আরও পড়ুন-হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মোদীকে নিশানা কানাডা সরকারের
উল্লেখ্য, উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার সঠিক ব্যবহার চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা পরিচালনা করতে বেশ কয়েকজন বনকর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মূল আকর্ষণ হল একশৃঙ্গ গন্ডার। এছাড়া এখানে আছে প্রচুর হাতি, চিতাবাঘ, বাইসন ছাড়াও নানা প্রজাতির হরিণ। এর ফলেই জলদাপাড়া চোরাশিকারিদের সক্রিয়তা বেশ ভালোই। ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের প্রয়োজন এবং বেশ সময়সাপেক্ষে। তবে মাইক্রো ড্রোনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেমন কোনও বিধিনিষেধ নেই। মাইক্রো ড্রোন যেকোন দুর্গম এলাকার ছবি সহজে এনে দিতে পারে। এমনকি মাইক্রো ড্রোন পরিচালনা করাও অনেক সহজ।