জামাইষষ্ঠী : শাশুড়ির মান রক্ষা করল মায়ানমারের ইলিশ

১ কেজির ওপরে হাজার বা বারোশো। গঙ্গা-পদ্মার ইলিশ না মিললেও দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে মায়ানমারের ইলিশ কিনলেন পেশায় শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল।

Must read

সংবাদদাত, কাঁথি : শ্বশুরবাড়িতে বছরে একবার কবজি ডুবিয়ে ভূরিভোজ বলে কথা। সেখানে ভোজনরসিক জামাইয়ের পাতে ইলিশ না থাকলে কোথাও যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এবছর জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে কীভাবে ইলিশ তুলে দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অনেক শ্বশুর-শাশুড়িই। কিন্তু জামাইষষ্ঠীর সকালে থলে নিয়ে বাজার পৌঁছতেই দেখা গেল গঙ্গা-পদ্মার ইলিশ না মিললেও শেষমেশ মানরক্ষা করতে হাজির মায়ানমারের ইলিশ। রবিবার সকালে জেলাজুড়ে বাজারে ভালই জোগান ছিল মায়ানমারের ইলিশের। আর তাতেই হল মুশকিল আসান। কাঁথির সুপার মার্কেটে ঢুঁ মেরে দেখা গেল সুদুর মায়ানমার থেকে জামাইষষ্ঠীর বাজারে ঢুকেছে কিছু ইলিশ। এক কেজির দাম ৭০০ টাকার মতো। ১ কেজির ওপরে হাজার বা বারোশো। গঙ্গা-পদ্মার ইলিশ না মিললেও দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে মায়ানমারের ইলিশ কিনলেন পেশায় শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল।

আরও পড়ুন-বর্ষায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির চিতি পাহাড়ে

তিনি জানান, ‘গিন্নির নির্দেশ, জামাই বাবাজির জন্য ইলিশ নিয়ে যেতেই হবে। কাল থেকে চিন্তায় ছিলাম। তবে শেষমেশ মানরক্ষা করেছে মায়ানমারের ইলিশ। বাড়ি গিয়ে দেখা যাক স্বাদ কেমন।’ উৎসব-অনুষ্ঠানে তমলুকের রাধামণির মাছের আড়তে তাজা মাছের জন্য বরাবরই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সেখানেও দেখা গেল মায়ানমারের ইলিশ। এখানে দাম যদিও কিছুটা বেশি। ৭০০ গ্রাম ওজনের দাম হাজার। ১ কেজি বা তার ওপরে দেড় হাজার। দাম বেশি হলেও জামাই বাবাজির পাত সম্পূর্ণ করতে শাশুড়িদের রন্ধনশালায় সেই ইলিশই পৌঁছে দিলেন শ্বশুরমশাইরা। গত বছর পুজোর সময় থেকে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ। রাজ্যে বর্তমানে চলছে সমুদ্রে মাছ ধরায় ব্যান পিরিয়ড। ফলে শনিবার পর্যন্ত কার্যত ইলিশের আকাল ছিল গোটা জেলাজুড়ে।

Latest article