নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কম দামে পুতিনের দেশ থেকে ভারত যে অপরিশোধিত তেল কেনার সুবিধা পাচ্ছে তার মুনাফা আমজনতা নয়, পাচ্ছে সরকার ঘনিষ্ঠ একশ্রেণির ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক সংস্থাই প্রশ্ন তুলেছে কীভাবে ভারতের নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার নাম করে তেল কিনে সেই তেল একশ্রেণির ব্যবসায়ীর হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র এবং কীভাবে সেই তেল বিদেশের বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে সরকার ঘনিষ্ঠ একাংশ। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দিয়ে যুক্তি-সহ এই অভিযোগ তুলে ধরলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং প্রাক্তন আমলা জহর সরকার (Jawhar Sircar)।
আরও পড়ুন- মরছে মরুক! সাহায্য চাওয়ায় এমনই পরামর্শ বিজেপি রাজ্যের পুলিশের
বিদেশমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, মুখ বাঁচাতে এখন অর্থমন্ত্রী গুজরাতের ওই সরকার ঘনিষ্ঠ সংস্থার উপরে ট্যাক্স চাপিয়েছেন। শুধু তাই নয় , মুম্বইস্থিত একটি অখ্যাত কোম্পানি হঠাৎ করেই রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল কিনতে শুরু করেছে কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জহর সরকার যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন, অখ্যাত এই শিপিং কোম্পানির যেখানে মাত্র দুটি জাহাজ ছিল এক বছরের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাদের এখন ৫৬টি জাহাজ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ (Jawhar Sircar) এবং প্রাক্তন আমলা উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে ভারত বারবার বিরত থাকছে। একের পর এক পশ্চিমি দেশগুলি যখন রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাণিজ্যিক দিক থেকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে দুটি প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব চেয়েছেন জহর সরকার। তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে তার ফলে ভারতের কোন কোন ব্যবসা লাভজনক হয়েছে। তিনি আরও জানতে চেয়েছেন, ভারতের এই অবস্থানের ফলে কি কূটনৈতিক দিক দিয়ে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে না? কারণ ভারতের এই অবস্থানের ফলে ভবিষ্যতে চিন-সহ বিভিন্ন দেশের দিক থেকে ভবিষ্যতে ভারতের উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাহলে কাকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এত বড় কূটনৈতিক ঝুঁকি নিচ্ছে ভারত?