সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : এখন আর ডোমজুড়, পাঁচলা, সাঁকরাইল, আমতা বা জগৎবল্লভপুর থেকে সোনা-রুপোর কাজে ভিনরাজ্যে যেতে হবে না। ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে উঠছে জুয়েলারি হাব। সেখানেই স্থানীয় ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার হাওড়ার শরৎসদনে আয়োজিত সিনার্জি থেকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। এদিনের সিনার্জি থেকে হাওড়ায় জুয়েলারি হাবের পাশাপাশি টেক্সটাইল ও ফাউন্ড্রি শিল্প গড়ার ওপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়। সিনার্জিতে শিল্পপতিরা জেমস ও জুয়েলারি হাব, টেক্সটাইল হাব ও ফাউন্ড্রি শিল্পে বিনিয়োগে ব্যাপারে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, ‘‘হাওড়ায় ১০টি শিল্পতালুক গড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অঙ্কুরহাটিতে যেমন জুয়েলারি পার্ক রয়েছে তেমনি উনসানি, জগদীশপুর ও বেলুড়ে গারমেন্টস পার্ক এবং জগৎবল্লভপুর, পাঁচলায় ফাউন্ড্রি হাবও রয়েছে।’’ জুয়েলারি হাবে বিভিন্ন নামীদামি সোনার দোকানের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট হবে।
আরও পড়ুন : গ্রামে থেকে শহরে উত্তরণের দলিল ১৪৪এ, ১৫-১৬য় জয় নিশ্চিত
সোনার কাজে নিযুক্ত হবেন এলাকার যুবকরাই। এছাড়াও গারমেন্টস হাবে উৎপাদিত সামগ্রীরও বিশাল বাজার রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার স্কুলের ছেলেমেয়েদের পোশাক, জুতো, ব্যাগ দিচ্ছে। সেসব তৈরির জন্য এখান থেকে উৎপাদিত সামগ্রী রাজ্য সরকারও কিনবে। ফলে মার্কেটের কোনও অভাব হবে না।’’ এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবমতো এদিন উলুবেড়িয়ায় শাটল কক তৈরির ক্লাস্টারেরও সূচনা করা হয়। হরিণঘাটা থেকে হাঁসের পালক এনে উলুবেড়িয়ার ওই ক্লাস্টারে কক তৈরি শুরুও করে দেওয়া হয়েছে। এদিন তারও সূচনা হয়। জুয়েলারি, গারমেন্টস, ফাউন্ড্রির পাশাপাশি আরও অন্যান্য ছোট শিল্প গড়ার ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের তরফে শিল্পপতিদের সবরকমের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে চন্দ্রনাথ সিংহ এদিন জানান।