প্রতিবেদন : শীতের বেলায় উৎসবমুখর ঝাড়গ্রাম (Jhargram festival)। পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধিতে বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার। স্থানীয় সংস্কৃতি, শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা, হরেকরকম পশরা নিয়ে মেলা, এসবেরই মেলবন্ধনে শুরু হল ঝাড়গ্রাম উৎসব। স্থান কুমুদ কুমারী বিদ্যালয় ও হিন্দু মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। চলবে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা করলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। পরিচালনায় আস্থা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সূচনার শেষে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, সবুজ ঘেরা ঝাড়গ্রামকে পর্যটকদের কাছে আরও ভালভাবে তুলে ধরতে উৎসবের আয়োজন। গত বছর শুরু হওয়া উৎসবের এবার দ্বিতীয় বছর। ঝাড়গ্রাম উৎসব শুধুমাত্র উৎসব নয়। নতুন প্রতিভা বিকাশেরও ঠিকানা। এই উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্থানীয় নতুন প্রতিভা পাড়ি দিয়েছে কলকাতাতেও। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে তারা। এছাড়াও উৎসবের মধ্যে যে প্রতিযোগিতাগুলির আয়োজন করা হয় সেখানে অংশ নিতে পারেন পর্যটকরাও। ঝাড়গ্রাম (Jhargram festival) সম্পর্কে অনেক তথ্য এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে জানতে পারেন পর্যটকরা। দ্বিতীয় বছরেই এই উৎসব মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এবার তাই উৎসব আরও বড় আকারে। উৎসব প্রাঙ্গণে মেলায় এবার রয়েছে ৭০টিরও বেশি স্টল। সূচনার দিন থেকে স্টলগুলিতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। উৎসবের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গোটা শীতকাল জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হয় উৎসব। স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরে নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হয়। হলদিয়া, দুর্গাপুর, বিষ্ণুপুর রাজ্যের এই প্রতিটা জায়গাতেই হয় উৎসবের আয়োজন। এই ভাবনা থেকেই ঝাড়গ্রাম উৎসবের পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন- বিদ্বেষ বিষে ভরা বিজেপি, ধিক্কার!

