প্রতিবেদন : বাম জমানায় জঙ্গলমহলের (jhargram) অবস্থা ছিল ভয়ঙ্কর। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ফলে বদলে গিয়েছে সেই জঙ্গলমহল। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এখানে এসেছেন। এলাকার উন্নয়ন করেছেন। এখন জঙ্গলমহলে খুশির হাওয়া। ফিরেছে খেলার পরিবেশ। শনিবার ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে এআইজিএস কাপের উদ্বোধনে এসে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জঙ্গলমহলের তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিলেন সেই কথা। এদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু, দুর্গেশ মল্লদেব, চূড়ামণি মাহাতো, অরূপ চক্রবর্তী, কবিতা ঘোষ, নিয়তি মাহাতো, ছত্রধর মাহাতো-সহ অন্যান্য বিশিষ্টরাও।
আরও পড়ুন- বাংলাতেও ছড়িয়েছে জাল! অসমে ধৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য
জঙ্গলমহলের (jhargram) এই আনন্দমুখর অনুষ্ঠানে এসে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ মনে করিয়ে দেন বাম আমলের সেই অন্ধকারময় দিনের কথা। বলেন, যে জঙ্গলমহলে আগে অস্ত্রের ঝঙ্কার ছিল, এমন একটা দিন নেই যে মৃত্যুবিহীন গিয়েছে, সেখানে মেয়েরা আজকে কন্যাশ্রী কাপের ফুটবল খেলছে। সুমন সাহুর নেতৃত্বে এতগুলো মানুষ এক জায়গায় হয়েছে। সিনিয়রদের অভিভাবকত্বে এত সুন্দর একটা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। দারুণ পরিবেশ খেলা হচ্ছে। সবুজ গালিচার মতো মাঠ। মুখমন্ত্রী জঙ্গলমহলে সমষ্টিভিত্তিক ও পরিবারভিত্তিক উন্নয়ন করেছেন। জীবনের বেসিক সমস্যাগুলো সমাধান করে দিয়েছে তাঁর সরকার। চাকরি, মাওবাদ— মূল যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো ধাপে ধাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মডেলে সমাধান হয়েছে। তার পরিণামেই জঙ্গলমহলে ক্রিকেট, ফুটবল খেলা হচ্ছে ধাপে ধাপে। কন্যাশ্রী কাপে মেয়েরা খেলছে। সাধারণ সম্পাদক কাপে এতগুলো টিম হৈ হৈ করে খেলছে। এই পরিবেশ চলতে থাকুক। মাথার ওপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। সাংসদরা রয়েছেন। বীরবাহার মতো কাজের মানুষ মন্ত্রী রয়েছেন। ফলে জঙ্গলমহলে ঢালাও উন্নয়ন চলবে। চলবে খেলাও।