প্রতিবেদন : ইডেন গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমদিনের শেষে ভাল জায়গায় বাংলা। টসে জিতে ঝাড়খণ্ডকে আগে ব্যাট করতে পাঠান বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। পেস সহায়ক উইকেটে বাংলার পেসাররাই হাত ভরিয়ে দিল। শুরু থেকে দ্রুত উইকেট তুলে নেন আকাশদীপরা। ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংস শেষ মাত্র ১৭৩ রানে। আকাশ ৪টি এবং মুকেশ কুমার নেন ৩ উইকেট। ঈশান পোড়েল ও আকাশ ঘটকের ঝুলিতে একটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন-মেজাজ হারিয়ে ভুল করেছি, নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আচরণে অনুতপ্ত মেসি
ভারতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন মুকেশ। শেষ টি-২০ ম্যাচের আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই পূর্ণ শক্তি নিয়েই রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামে বাংলা। আকাশ, মুকেশদের বোলিং বিক্রমের সামনে শুরু থেকেই চাপে থাকে ঝাড়খণ্ড। একটা সময় ৭৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট চলে যায় ঝাড়খণ্ডের। সেখান থেকে একা বুক চিতিয়ে লড়েন কুমার সুরজ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কোনও ব্যাটারই তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেননি। ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক বিরাট সিং মাত্র ৬ রান করে আউট হন। পঙ্কজ কুমার ২১ রান করেন।
উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ছিলেন অভিষেক পোড়েল। মুকেশের বলে ডান দিকে শরীর ছুঁড়ে রাহুল শুক্লার ক্যাচ অসাধারণ দক্ষতায় এক হাতে তালুবন্দি করেন বঙ্গ উইকেটকিপার। তবে স্লিপে দাঁড়িয়ে ছন্দে থাকা ঝাড়খণ্ড ব্যাটার সুরজের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। আম্পায়ারও সুরজের একটি নিশ্চিত আউট নাকচ করেন। না হলে ঝাড়খণ্ডকে দেড়শোর কম রানে আটকাতে পারত বাংলা।
আরও পড়ুন-তিতাসদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত সৌরভ
আলো কম থাকায় প্রথম দিনে বাংলা আর ব্যাট করতে নামেনি। উইকেটে গতি, বাউন্স রয়েছে। সকালের দিকে পেসাররা সাহায্য পাচ্ছেন। বাংলার ওপেনারদের সেই আক্রমণ সামলাতে হবে। এই ম্যাচেও ফের অভিমন্যুর সঙ্গী নতুন ওপেনার। কাজী জুনেইদ সৈফি ওপেন করবেন। বাংলার হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বললেন, ‘‘আমরা হয়তো ওদের আরও আগে অলআউট করে দিতে পারতাম। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। রঞ্জির নক আউট ম্যাচ সব কিছু সহজে পাওয়া যায় না। কষ্ট করতে হয়। এখনও অনেক লড়াই বাকি।’’