সংবাদদাতা, তমলুক : নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার তৈরির জন্য স্কুল শিক্ষকদের সিঁড়ি বানিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার সমান। রাজ্য জুড়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি হারানোর পিছনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনেক অবদান রয়েছে। তিনিই আবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে এই ভাষাতেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এদিন থেকেই তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে ২৬ হাজার চাকরি যাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের হয়ে জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে নামল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। সেই সঙ্গে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে শুরু হল চাকরিহারাদের অবস্থান-বিক্ষোভ। এই অবস্থান চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তৃণমূলের এই দুই শিক্ষক সংগঠনের তরফে এই অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বিশাল শিক্ষক সমাবেশে গলায় ও হাতে পোস্টার, প্লাকার্ড নিয়ে চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা অবস্থান শুরু করলেন। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে এই সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সমাবেশ থেকে চাকরিখেকো বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রাজনৈতিক স্বার্থে গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁরা। ইতিমধ্যে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করেছে আদালত। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় ২,৪০০ শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন। তাঁরাও এদিন অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দেন। কখনও গান, কখনও হাততালি, কখনও স্লোগানে চাকরিহারা তাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন।