প্রতিবেদন : কেন্দ্রের দুই মন্ত্রকের পাতা ফাঁদে আটকে গিয়েছে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা অংশের কাজ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ময়দান এলাকায় ওই কাজের অনুমোদন সেনাবাহিনী দেবে না। আর এই কারণেই জোকা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত কাজ হলেও খিদিরপুর থেকে কাজ শুরু করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকারের রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড।
আরও পড়ুন- সক্রিয় পুলিশ, বড়সড় লুঠের ছক বানচাল
ওদিকে রাজ্যের পরিবেশবিদরা ময়দান ইস্যুতে হাইকোর্টের নির্দেশ পরিবর্তনে নারাজ। ফলে এই প্রকল্পের ভবিষ্যত নির্ভর করছে সম্পূর্ণ হাইকোর্টের উপর। ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। পরবর্তীকালে প্রকল্পটি জোকা-ধর্মতলা করা হয়। ২০১০-এর ডিসেম্বরে কলকাতা পুরসভা, পিডব্লুউডি, পরিবেশ দফতর ও পুলিশ নো-অবজেকশন নেয়। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক প্রকল্পের দায়িত্ব দেয় রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডকে।
আরও পড়ুন- এমবাপে কি তবে ক্লাব ছাড়ছেন, জল্পনা তুঙ্গে
এরপর ২০০৫ সালে কলকাতা হাইকোর্ট এক মামলায় নির্দেশ, সেনাবাহিনীর এলাকা বা ময়দান এলাকায় মাটির নীচে বা উপরে কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না। ওই এলাকায় মাটির উপরের কোনও গাছ কাটা যাবে না। ২০১৬-র ৪ জানুয়ারি নিগম এই প্রল্পের ছাড়পত্র দিতে সেনাবাহিনীকে চিঠি দেয়। উত্তরে সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০০৫ সালের হাইকোর্টের নির্দেশের পরিবর্তন না হলে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। পরিবেশবিদদের মতে, ময়দান শহরের প্রাণকেন্দ্র, কলকাতাকে অক্সিজেন যোগান দেয়৷
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন চরম জনবিরোধী, মুখ খুলল তৃণমূল কংগ্রেস
সব পক্ষকেই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা উচিত, হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত নির্দেশ বদলের আবেদনই করা উচিত নয়৷ ওদিকে জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড সেপ্টেম্বরে প্রোজেক্ট ম্যাপ ও রিপোর্ট জমা দেবে। নিগমের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য, সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা মডিফিকেশন না হলে ওই নির্মাণ কাজ করাই যাবে না। পাশাপাশি পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেছেন, মেট্রো নির্মাণের সময় কখনই পরিবেশ আইন ও অন্যান্য আইনের তোয়াক্কা করা হয় না। পরিবেশকে খুন করে উন্নয়নের সুফল কখনই মিলতে পারে না।