বিজেপি সরকারের দুর্নীতি ফাঁস করে খুন সাংবাদিক

প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান উইমেন প্রেস কর্পস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : ঠিকাদারের দুর্নীতি ফাঁস করে দেওয়ায় বিজেপি-রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিণতি সাংবাদিকের। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করে দেওয়ায় খুন হতে হল সাংবাদিককে। বিজাপুর জেলার এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল ২৮ বছরের সাংবাদিকের দেহ। সম্প্রতি ওই ঠিকাদারের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকার নামে সাংবাদিক। প্রকাশ করে দিয়েছিলেন ঠিকাদারের গোপন কর্মকাণ্ড। শুক্রবার তাঁর দেহ মেলে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান উইমেন প্রেস কর্পস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য পরিষেবায় ১০ বছরে লগ্নি ১.৫ লক্ষ কোটি

সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার ‘বস্তার জংশন’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দুর্নীতি, উপজাতীয় অধিকার এবং সংঘাত-বিধ্বস্ত বস্তারের বিদ্রোহী সহিংসতার বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সম্প্রতি ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকারের বিরুদ্ধে একটি তদন্তমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করেন মুকেশ। সেখানে বস্তারে ১২০ কোটির রাস্তা-নির্মাণ প্রকল্পে সুরেশের দুর্নীতি ফাঁস করেন তিনি। এই রিপোর্টের ফলে সরকার বাধ্য হয়ে ঠিকাদারের কার্যকলাপের ওপর তদন্ত শুরু করে। এরপর ১ জানুয়ারি হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন মুকেশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিজাপুরের চাট্টানপাড়ায় সুরেশের বাড়িতে ভাই ঋতেশ এক বৈঠকের বন্দোবস্ত করেন মুকেশের সঙ্গে। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করে তাঁর সর্বশেষ লোকেশন ট্র্যাক করি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহ পাই। এখনও পর্যন্ত সুরেশের দুই ভাই দীনেশ এবং ঋতেশ চন্দ্রকার-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সুরেশ পলাতক।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

সূত্রে খবর, বস্তারের ঠিকাদারদের কুখ্যাত লবি রয়েছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে সরকারি প্রকল্পের চুক্তি পায়। এবং প্রায়ই বিরোধী কণ্ঠস্বরকে হুমকি দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। এই দুর্নীতি নিয়ে খবর করায় সাংবাদিকরা নিয়মিত হয়রানি এবং হুমকির শিকার হন। শনিবার প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ী এবং মহাসচিব নীরজ ঠাকুরের জারি করা বিবৃতিতে ভারতীয় প্রেস কাউন্সিলকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

Latest article