সেন্ট্রাল পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, ধর্মতলায় জয় বাংলা, সভায় থাকছেন অখিলেশ

ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জঙ্গলমহল থেকে আসা (বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর) মানুষদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : কাল একুশের সমাবেশে আসুন। বাংলার আপামর জনসাধারণকে ডাক দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর এই ডাকেই ৩২টা বছর ধরে ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে হাজির হন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে চলেছে এবারের সমাবেশ। ১৯৯৩ সালের একুশে জুলাইয়ের রক্তস্নাত দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর শহিদ তর্পণ করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস, ঘটছে আবহাওয়ার বদল

সেকথা উল্লেখ করে শনিবার সকালে নেত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, একুশে জুলাই বাংলার ইতিহাসে এক রক্তস্নাত দিন। ১৩টি তরতাজা যুবকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল হিংস্র সিপিএম। আমার ১৩ জন সহযোদ্ধাকে হারিয়েছিলাম সেদিন। আজও সেকথা ভুলতে পারি না। একুশে জুলাই এখন বাংলার মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছে। নেত্রী আরও লিখেছেন, এই দিনটিকে আমরা মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসেবে পালন করি। আমি আশা রাখি, আপনারা সকলে এই দিনটির তাৎপর্য মেনেই দিনটিকে সেভাবেই পালন করবেন। এবারের একুশের সভায় নেত্রীর আমন্ত্রণে থাকতে পারেন অখিলেশ যাদবও।
শুক্রবার থেকেই শহরে বিভিন্ন জেলা থেকে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে দলের তরফে। শনিবার সকাল থেকে সব ক’টি জায়গায় শুধুই জনস্রোত। সল্টলেকে মন্ত্রী সুজিত বসু, গীতাঞ্জলিতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ একাধিক বিধায়ক-কাউন্সিলর ও ছাত্র-যুব নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে চলছে সবকিছুর তদারকি। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে মূলত উত্তরের জেলাগুলি থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গীতাঞ্জলিতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কর্মী-সমর্থকদের জন্য হয়েছে ব্যবস্থা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জঙ্গলমহল থেকে আসা (বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর) মানুষদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি জায়গাতেই রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। রয়েছে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা। নেতৃত্ব সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছেন কর্মী-সমর্থকদের কিছু প্রয়োজন রয়েছে কি না তা দেখার জন্য। প্রতিটি জায়গাতেই থাকছে একাধিক বাস, আগামিকাল সকাল থেকেই যেগুলি এই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌঁছবে ধর্মতলার সমাবেশে। বছরের পর বছর ধরে এই একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, এটা আমাদের আবেগ। সেই সঙ্গে একুশের মঞ্চ থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেবেন, তা শুনতেই মুখিয়ে আছেন সকলে। সব মিলিয়ে অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

Latest article