জয় বাংলা স্লোগান! দমদমে এসি লোকালের উদ্বোধনে সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ আইএনটিটিইউসির

চাকা গড়াল শিয়ালদহ-রানাঘাট (Sealdah Ranaghat) এসি লোকালের। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চলতে শুরু করল প্রথম এসি লোকাল

Must read

চাকা গড়াল শিয়ালদহ-রানাঘাট (Sealdah Ranaghat) এসি লোকালের। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চলতে শুরু করল প্রথম এসি লোকাল। পূর্ব ভারতের প্রথম এসি লোকাল হিসাবে যাত্রা শুরু হল শিয়ালদহ-রানাঘাটের মধ্যে। শিয়ালদহ-রানাঘাট এসি লোকালে রয়েছে ১১২৬টি আসন। কিন্তু এদিন এসি লোকালের উদ্বোধনের দিন দ্বন্দে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি।

আরও পড়ুন-”অভিযোগ না পেলেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত করব” আশ্বাস নগরপালের

বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী এবং বাঙালিদের ওপর হামলা চলছে। বাংলায় কথা বললেই আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার, মারধর এমনকী মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। এই ঘটনায় ফুঁসছে গোটা বাংলা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। রবিবার শিয়ালদহ-রানাঘাট এসি লোকালের উদ্বোধনের দিন আইএনটিটিইউসি কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন দমদম স্টেশনে এসি লোকাল থেকে নামতেই বিজেপি সাংসদ ও তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে জয় বাংলা স্লোগান ওঠে। বিজেপি কর্মীরা তেড়ে যান। দু-পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন-প্রতিশ্রুতি ছিল পাঁচ লক্ষের, দেওয়া হচ্ছে ৫০০০! ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ উত্তরকাশীর ধরালীর ক্ষতিগ্রস্তরা

এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ এসি রানাঘাট লোকালে চড়ে শিয়ালদহ থেকে দমদম আসেন সুকান্ত ও বিজেপি কর্মীরা। দমদমে নেমে স্টেশনের বাইরে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান সুকান্ত। সেসময় বাংলাভাষীদের ওপর অত্যাচার নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইএনটিটিইউসি কর্মী-সমর্থকেরা। জয় বাংলা স্লোগান তোলেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মী-নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিজেপি নেতাদের দেখলে ‘জয় বাংলা’ বলুন। রবিবার অভিষেকের নির্দেশমতোই সুকান্ত মজুমদারকে দেখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। এরপর পাশাপাশি শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদল নিয়েও সুকান্তকে আক্রমণ করে তৃণমূল। সুকান্ত শিয়ালদহ স্টেশনকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করার প্রস্তাব দেন। এরপরই হুগলির এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁর নামে এ-রাজ্যে বন্দর রয়েছে। তাহলে আবার শিয়ালদহ স্টেশন কেন? আর যদি শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদল করতেই হয় তাহলে এটা স্বামী বিবেকানন্দের নামেই হওয়া উচিত। কারণ, শিকাগো ধর্মসভায় ঐতিহাসিক বক্তৃতার পর তিনি জাহাজে চেপে দেশে নামেন। সেখান থেকে তিনি ট্রেনে শিয়ালদহে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় যুবকেরা তাঁর গাড়ি থেকে ঘোড়া খুলে রেখে নিজেরাই স্বামীজিকে মিত্র ইনস্টিটিউশান স্কুলে নিয়ে যান, সেখানে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তাই যদি নাম বদল করতেই হয়, তাহলে শিয়ালদহ স্টেশনের নাম স্বামীজির নামে করা হোক।

Latest article