পাঁচ রাজ্য সফর বয়কট জেপিসির সদস্য বিরোধী সাংসদদের : কল্যাণ

কিন্তু যাঁরা স্টেক হোল্ডার তাঁদের সংখ্যা কম। এরকমই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে আসন্ন পাঁচ রাজ্য সফর বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল-সহ পাঁচ বিরোধী দল।

Must read

প্রতিবেদন : ওয়াকফ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বিরোধী সাংসদরা পাঁচ রাজ্য সফর বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী শনিবার গুয়াহাটি থেকে সফর শুরু করার কথা জেপিসির। ছ’দিনে দেশের পাঁচ রাজ্যের পাঁচটি শহরে বৈঠক করার কথা ওয়াকফ বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্যদের। বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের আসন্ন সেই সফর বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দল।

আরও পড়ুন-উধাও ট্যাবের টাকা, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর তদন্তের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের মুখ্য সচেতক নাদিমুল হক এই মর্মে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওয়াকফ জেপিসিতে তাড়াহুড়ো করছেন চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে ভোট রয়েছে, আমাদের রাজ্যে উপনির্বাচন রয়েছে, এর মধ্যে কীভাবে এই সফর সম্ভব? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদরা। জেপিসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে বিরোধী সাংসদরা গত ৩ নভেম্বর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন। কল্যাণ সে-প্রসঙ্গে বলেন, সপ্তাহে দু’দিন ৯ ঘণ্টা করে জেপিসির বৈঠক হচ্ছে, আমরা সাংসদেরা অন্য কোনও কাজই করতে পারছি না। কোনও স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যেতে পারছি না। তার মধ্যেই আবার এই সফরসূচি রাখা হয়েছে। স্পিকার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, বৈঠকের সময় কমানো এবং সফর বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। কিন্তু তা হয়নি। তাই এই সফর বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কংগ্রেস, ডিএমকে, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (পওয়ার), জেএমএম সাংসদেরাও বয়কট করছেন এই সফর।

আরও পড়ুন-সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আপত্তি কিংবা প্রশ্ন তুলল না কোর্ট, দ্রুত তদন্ত চাইল রাজ্য

উল্লেখ্য, এবার গুয়াহাটি থেকে শুরু করে কলকাতা, পাটনা, ভুবনেশ্বর এবং লখনউ সফর ছিল জেপিসির।কল্যাণের আরও অভিযোগ, ওয়াকফ নিয়ে চেয়ারম্যান যাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই এ বিষয়ে কোনও ভূমিকা নেই। কৃত্রিম মতামত নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। কল্যাণের কথায়, অতীতে অনেক জেপিসি হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। টু-জি স্পেকট্রাম নিয়ে গঠিত জেপিসি রিপোর্ট দিতে সময় নিয়েছিল দেড় বছর। তাড়াহুড়ো করে মনগড়া রিপোর্ট দিতেই জেপিসির চেয়ারম্যান ছিলেন সক্রিয়। কল্যাণের আরও অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে যখন মিটিং হয় তখন সময় বেশি, কিন্তু অবিজেপি রাজ্য সময় কম। ওয়াকফ বিল নিয়ে যাঁদের কোনও ভূমিকা নেই তাঁদের মিটিংয়ে ডাকা হয়। কিন্তু যাঁরা স্টেক হোল্ডার তাঁদের সংখ্যা কম। এরকমই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে আসন্ন পাঁচ রাজ্য সফর বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল-সহ পাঁচ বিরোধী দল।

Latest article