প্রতিবেদন: অপরাধমূলক মানহানির মামলায় শাস্তি খারিজের দাবিতে গুজরাতের সেশনস কোর্টে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হলেও মামলার রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। ২০ এপ্রিল এই মামলার রায়দান হবে। উল্লেখ্য, অপরাধমূলক মানহানির মামলায় ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সুরাতের নিম্ন আদালত। সুরাত আদালতের ওই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই সাংসদ পদ খোয়াতে হয় রাহুলকে। তবে সাজা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। আদালত জানিয়েছিল, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করারও সুযোগও পাবেন তিনি।
আরও পড়ুন-ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন, ২০২৪ পর্যন্ত টাকা দেবে না কেন্দ্র
এদিন বিচারপতি আরপি মোগেরার এজলাসে রাহুলের আরজির শুনানি হয়। ২০০৬ সালে। গুজরাতে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনায় তুলসীরাম প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় নাম জড়িয়ে ছিল অমিত শাহর। সেই মামলায় শাহর আইনজীবী ছিলেন এদিনের বিচারক মোগেরা। তিনি শাহর হয়ে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, বিচারক মোগেরার সঙ্গে শাহ বা বিজেপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে পারে। এর আগে এক হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিচারক মোগেরা ২০১৪ সাল পর্যন্ত শাহর হয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে লড়াই করেছিলেন। তিনি শাহকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক মোগেরা যদি রাহুলের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন, সেক্ষেত্রে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে।