আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তার আগেই স্বাধীন বিচার বিভাগের অর্থ বোঝালেন তিনি। সাফ জানালেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনভাবে কাজ করার মানে এই নয় যে সর্বক্ষণ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রধানদের সঙ্গে বিচারপতিদের বৈঠক মানে কোনও বোঝাপড়া হচ্ছে, এমনটা একেবারেই নয়।’
চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) কথায়, “স্বাধীন হতে হলে একজন বিচারপতিকে অবশ্যই তাঁর বিবেকের কথা শুনতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। একজন বিচারপতির বিবেক আইন ও সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হয়। যখন রায় সরকারের বিরুদ্ধে যায় এবং নির্বাচনী বন্ড স্কিম বাতিল হয়, তখন এক পক্ষ বলে, বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু রায় সরকারের পক্ষে গেলে বলা হয়, বিচার বিভাগ আর স্বাধীন নয়। এটা স্বাধীনতার সংজ্ঞা হতে পারে না।”
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা মান্যতা পেল সুপ্রিম কোর্টে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গ্রুপ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়। সেখানেই বিচারপতি বলেন, বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে কোর্টের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে অনেক গোষ্ঠী। প্রধান বিচারপতি জানান, “আগে নির্বাহী বিভাগের থেকে স্বাধীনতাকেই ঐতিহ্যগতভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হত। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মানে এখন সরকারের থেকে স্বাধীনতা। সমাজ বদলেছে। কিছু গোষ্ঠী তারা ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার চেষ্টা করে যাতে রায় তাদের অনুকূলে যায়।’
দিন কয়েক আগে গণেশ পুজোয় দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এপ্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন,”ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে এসেছিলেন। এটা তো সামাজিক বিষয়। আমি মনে করি, এতে কোথাও, কোনও ভুল ছিল না। কারণ বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে এমনকি সামাজিক পর্যায়েও নিরন্তর বৈঠক চলছে। আমরা রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রজাতন্ত্র দিবস ইত্যাদিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যাই। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন হয়। তা ব্যক্তিগত।”