প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে রাজস্থানের বাসিন্দা জুনেইদ ও নাসিরকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে হরিয়ানা পুলিশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। হরিয়ানার ভিওয়ানিতে পোড়া বোলেরো গাড়িতে জুনেইদ ও নাসিরের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। এই খুনের ঘটনার তদন্তে বেশকিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, এফআইআর-এ যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের সঙ্গে নূহ জেলা পুলিশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই খুনের ঘটনায় ধৃত ৫ যুবক অনিল, শ্রীকান্ত, রিঙ্কু সাইনি, লোকেশ ও মোহিত যাদব মূলত হরিয়ানা পুলিশের ইনফরমার বা চরের কাজ করত। তারা গোরক্ষক দলের হয়ে গরু পাচারকারীদের হদিশ দিত পুলিশকে। কোথাও গরু পাচারের ঘটনা ঘটছে কি না তার খোঁজখবর রাখত তারা।
তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে, জোড়া খুনের এফআইআরে অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা রিঙ্কু, লোকেশ এবং শ্রীকান্তকে গত দু’মাসে নূহের ফিরোজপুর, ঝিরকা এবং নাগিনা থানায় দায়ের করা কমপক্ষে চারটি এফআইআরে তথ্যদাতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা তিনটি গোরক্ষা গোষ্ঠীর অংশ। এই তালিকায় রয়েছে মনু মানেসারের নামও। মনু মানেসার বজরং দলের সদস্য এবং গুরগাঁওয়ে হরিয়ানা সরকারের গরু সুরক্ষা টাস্ক ফোর্সের পোস্টারবয়।
আরও পড়ুন-তিরুপতি মন্দিরে সস্ত্রীক সূর্যকুমার
মৃত নাসির এবং জুনেইদের পরিবারের দাবি, হরিয়ানা পুলিশই তাদের বজরং দলের লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছিল। তারাই গরু পাচারকারী সন্দেহে একটি বোলেরো গাড়ির ভিতর ও জুনেইদ ও নাসিরকে পুড়িয়ে মারে। মৃত দুই যুবক রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ঘটমিকা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামটি হরিয়ানা সীমান্তের একেবারেই পাশেই। হরিয়ানা পুলিশ পাল্টা দাবি করেছে, এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কোনও কর্মীর যোগ নেই। পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকেই ধরেনি বা বজরং দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়নি। যদিও জেরায় রিঙ্কু জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকদের তারা হরিয়ানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। এই খুনের ঘটনায় রাজস্থান পুলিশের পক্ষ থেকে আরও আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।