প্রতিবেদন : আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Case) জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত। এখনও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কোনও অভিপ্রায়ও নেই তাঁদের। স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও আরজি কর কেন, কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্কট এখনও কাটেনি। আর তাতেই চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন রোগীরা। রবিবার বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ পরিষেবা। ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনে সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে পরিষেবা নিতে ভিড় জমে বহু রোগীর। শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও এসএসকেএম, এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা আসেন। কিন্তু সোমবার দেখা গেল বহু রোগী ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়েই।
ক্যানিংয়ের ঘুঁটিয়ার শরিফের বাসিন্দা আব্দুল সালাম মোল্লা মূল ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্ট ভর্তি ছিলেন আরজি কর হাসপাতালেই। তাঁর বুকে জল জমার সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালে অচলাবস্থার জন্য বাড়ির লোক তাঁকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যান। তবে ফের বাড়াবাড়ি হওয়ায় তাঁকে সোমবার চিকিৎসার জন্য পুনরায় নিয়ে আসা হয় আরজি করে। কিন্তু তিনি যথাযথ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ পরিবারের। এদিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হয় ৭০ বছরের বৃদ্ধা হুগলির অঞ্জলি মণ্ডল, ৬০ বছরের আব্দুল হাকিম, বরানগরের বাসিন্দা সুমিত চক্রবর্তীকে। চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের জেরে কোনও ডাক্তারই নেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন- হরিয়ানার বিজেপি গুন্ডাদের হাতে খুন বাংলার শ্রমিক, মৃত সাবিরের পরিবারকে চাকরি মুখ্যমন্ত্রীর
জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে রোগীদের একটাই আর্জি, যে দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন তার প্রতি সকলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু রোগীদের কথাও একটু ভাবুন। বিনা পয়সায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পেলে গরিব মানুষরা তো অত খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যেতে পারবে না। একই অবস্থা রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই। সকলেরই দাবি, আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Case) তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণে যে বা যারা জড়িত সবাই শাস্তি পাক। চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করুন।