প্রতিবেদন : নমনীয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। আস্থা রাখলেন প্রশাসনের উপরেই। ২২ ঘণ্টা অবস্থানের পর অবশেষে লালবাজারের সামনে থেকে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার ২২ জনের প্রতিনিধিদল লালবাজারে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা সিপি বিনীত গোয়েলকে (Vinit Goyal) ডেপুটেশন জমা দেন। তাঁরা জানান, পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের সমস্ত দাবি শুনেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলোচনা হয়েছে সদর্থক। তাঁরা লালবাজারের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত অভয়া সুবিচার পাবে। চিকিৎসকদের যন্ত্রণাদায়ক আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁদের আন্দোলনের যৌক্তিকতাকে সমর্থন করেন তিনি। অত্যন্ত সংবেদশীল মনোভাব নিয়েই গোটা বিষয়টি দেখছে প্রশাসন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, অনেক কষ্ট থেকে ওরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনের স্পিরিট যেমন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনভাবেই নিজেদের দায়িত্ব মেনেই ডাক্তারবাবুরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। নগরপাল (Vinit Goyal) যেমনভাবে উত্তর দেওয়ার দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের আধ কিলোমিটার দূরে, ফিয়ার্স লেনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ২২ ঘণ্টা পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে ধরনায় বসার পর মঙ্গলবার দুপুরে সুর নরম হয় তাঁদের। পুলিশি অনুমতি নিয়ে লালবাজারে ডেপুটেশন জমা দিতে যান তাঁদের প্রতিনিধি দল। মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে লালবাজারে গিয়ে নিজেদের দাবি জানান চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন- হরিয়ানায় ফের নৃশংস গোরক্ষা বাহিনী, ১৯ বছরের যুবককে গুলি করে খুন