কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের (Division bench) সংঘাতের ফলে মামলা গিয়ে পৌঁছেছিল শীর্ষ আদালতে (Supreme court)। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে আজ। যে মামলাকে ঘিরে সংঘাত সেই মামলা এবার হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবে এমন কথাই সোমবার জানিয়েছে বিশেষ বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টে মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত ওই মামলাটি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। তিনি তখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ডিওয়আই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের বিশেষ বেঞ্চে আজ চলছে শুনানি। রাজ্যের পক্ষে আজ আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলার পার্টি। তাঁর পক্ষে সওয়াল করছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
আরও পড়ুন-পলিটেকনিক, আইটিআইতে মেয়েদের যোগদান বাড়াতে উদ্যোগী রাজ্য
আজ, সোমবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, কোন মামলায় কে শুনানি করবেন তা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন । তাঁর থেকে এই ক্ষমতার কেড়ে নেওয়া উচিত নয়। হাইকোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কের ইস্যু এদিন মনে করিয়ে দেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় তাঁকে ছাড় দিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। আইনজীবী এদিন বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলার জন্য গত বছর এপ্রিলে একটি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।’ তিনি আরও বলেন, একজন বিচারপতি র্যালিতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ছবি দেখা যাচ্ছে। বারবার বিচারপতি একই কাজ করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন, সে ক্ষেত্রে কী করা উচিত?’
আরও পড়ুন-চালকহীন মেট্রোর ট্রায়াল রান
প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়, এমন কোনও কথা বলা যাবে না। হাইকোর্টের বিচারপতি সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে না। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তিন সপ্তাহ পরে মামলার শুনানি হবে।