দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna)। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সকাল ১০টায় দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন। আগামী ৭ মাসের জন্য প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন তিনি। ২০২৫ সালের ১৩ মে সঞ্জীব খান্না অবসর নেবেন।
আজ, সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধান বিচারপতি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি সঞ্জীব। তবে প্রধান বিচারপতির জন্য বরাদ্দ বাংলো ব্যবহার করবেন না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সঞ্জীব খান্না।
আরও পড়ুন- অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মহাকরণ-এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো!
৪০ বছরেরও বেশি সময় আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna)। ১৯৮৩ সালে দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। ২০০৫ সালে সঞ্জীব খান্না দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। ১২ মাস পরেই দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্নাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
নিয়ম মেনে অবসর গ্রহণের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম বিচারপতির নাম সুপারিশ করেন। সেই প্রথা মেনেই গত ১৭ অক্টোবর সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে সম্প্রতি বিচারপতি খন্নার নাম সুপারিশ করেছিলেন। ২৪ অক্টোবর ওই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে ১১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না।