বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার ইমপিচমেন্ট: বিরোধীদের পাশে চেয়ে বার্তা কেন্দ্রের

দুর্নীতি ইস্যুতে আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে সংসদে ইমপিচমেন্ট আনা হতে পারে।

Must read

প্রতিবেদন: দুর্নীতি ইস্যুতে আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে সংসদে ইমপিচমেন্ট আনা হতে পারে। দিল্লি হাইকোর্টে কর্মরত থাকাকালীন বিতর্কিত বিচারপতির সরকারি বাসভবন থেকে ১৫ কোটি টাকার পোড়া নোট উদ্ধার হয়। সুপ্রিম কোর্টও তদন্ত করে অভিযোগের সারবত্তা পেয়ে শাস্তির সুপারিশ করেছে। এবার সংসদে বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মাকে অপসারণ বা ইমপিচমেন্ট নিশ্চিত করতে বিরোধী শিবিরের সাহায্য চায় মোদি সরকার৷ শুক্রবার দিল্লিতে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই চলতে চান বলে জানান। সংসদের বাদল অধিবেশনে যদি বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়, তাহলে সেখানে বিরোধী শিবিরের সাংসদরাও স্বাক্ষর করুন, চাইছে শাসক শিবির ও সরকারপক্ষ। এদিন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু৷ এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট ইস্যুতে সরকার নয়, যা করার করবে আইনসভা বা সংসদ৷ এই ক্ষেত্রে শাসক ও বিরোধী শিবিরের সাংসদরা মিলে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করতে পারেন বলে আভাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী৷ সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভায় বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে হলে কমপক্ষে ১০০ জন সাংসদ ও রাজ্যসভায় কমপক্ষে ৫০ জন সাংসদের সই প্রয়োজন৷

আরও পড়ুন-পহেলগাঁও কাণ্ডের হোতা টিআরএফকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা

উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন যশোবন্ত ভার্মার দিল্লির সরকারি বাসভবন থেকে উদ্ধার করা হয় কোটি কোটি টাকা৷ সুত্রের খবর, আগুনে পোড়া নোটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এই ঘটনার পরে বিচারপতি ভার্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তাঁকে সবরকমের বিচার সংক্রান্ত কাজ থেকে সরিয়ে রাখা হয়৷ ভার্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট-সহ দেশের একাধিক হাইকোর্টে আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ দেখান। সেইসময় বিচারপতি ভার্মার বাসভবন থেকে বেআইনি টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে দেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না৷ এই কমিটি তাদের তদন্তে বিচারপতি ভার্মাকে দোষী সাব্যস্ত করে সংসদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এদিকে, এই কমিটির রিপোর্ট মানতে না চেয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা মামলা
করেছেন বিচারপতি ভার্মা নিজে৷ তাঁর দাবি, তিনি পুরোপুরি নির্দোষ৷ একইসঙ্গে জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।

Latest article