প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt) জোরালো সওয়াল করলেন সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে পরপর যুক্তি ও আইনি উদাহরণ তুলে ধরে কল্যাণ স্পষ্ট করে দেন গত শনিবার যেভাবে ওয়েবকুপার সভায় পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছিল তা ঘৃণ্য অপরাধ। সেদিন শিক্ষমন্ত্রী-সহ অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের হেনস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা অপরাধ। এসব সত্ত্বেও মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা কেউই পাল্টা আঘাতের পথে যাননি। এমনকি ক্যাম্পাসে পুলিশও ডাকেননি।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে ৭৮% ভুয়ো রেশন কার্ড, বাংলায় ৯৬% আসল
এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনায় রাজ্যের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা সওয়ালে বলেন, ২০১৪ সালের একটা নির্দেশ আছে, পুলিশ ডাকতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়। সেটা তারা করেননি। আমি নিজেও একজন এমপি, আমি জানি এসব ক্ষেত্রে কী করা যেত। সওয়াল-জবাবে বিচারপতি আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ তুললে কল্যাণ বলেন, আদালত যদি মনে করে আমার কারণে অবমাননা হয়েছে, তবে আমি এই কোর্ট আর হাজির হবো না। যাদবপুর মামলার শুনানির দিন পিছনো নিয়ে চলছিল সওয়াল-জবাব।