একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে রবিবার সকাল থেকে ট্রেন পথে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছলেন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। উত্তরবঙ্গ-সহ জঙ্গলমহল এবং বীরভূম, বাঁকুড়া থেকে বহু দলীয় কর্মী এদিন হাওড়া স্টেশন আসেন। তাঁদের যথাযথ গাইড করে নির্ধারিত থাকার জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হাওড়া স্টেশনের বাইরে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অভ্যর্থনা মঞ্চ খোলা হয়েছে। সেখানে সবসময় উপস্থিত থেকে সমস্ত কাজকর্ম তদারকি করছেন হাওড়া সদর যুব তৃণমূলের সভাপতি কৈলাস মিশ্র। তাঁর নেতৃত্বে যুব তৃণমূলের কর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় কর্মীদের নির্দিষ্ট বাসে তুলে দিয়ে তাঁদের যেখানে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কোন বাস গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, কোনটা ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র আবার কোনটা পার্কে যাচ্ছে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন যুব তৃণমূলের কর্মীরা। এছাড়াও অভ্যর্থনা মঞ্চে এসে কাজকর্ম তদারকি করছেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, মন্ত্রী ও হাওড়া সদর তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়, সভাপতি ও বিধায়ক গৌতম চৌধুরি, মহিলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি, মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, আইএনটিটিইউসির হাওড়া সদরের সভাপতি অরবিন্দ দাস-সহ দলের জেলাস্তরের একাধিক নেতা। হাওড়া স্টেশনে আসা অনেক কর্মীকে সালকিয়ার শ্যাম গার্ডেন ও শ্রীরাম বাটিকা হলেও রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ২০-২২ হাজার কর্মীকে ডিম-ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন হাওড়া সদর তৃণমূল নেতৃত্ব। যুবনেতা কৈলাস মিশ্র জানান, ‘আমাদের দলের স্বেচ্ছাসেবকরা সবসময় তৈরি আছেন। সবাইকে ঠিকঠাক গাইড করে নির্দিষ্ট থাকার জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সবার খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। একশে জুলাই আমাদের সবার কাছে একটা আবেগ। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কি নির্দেশিকা দেন তা শুনতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: গ্যাংস্টার খুনে গ্রেফতার, রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ বিহার এসটিএফের