প্রতিবেদন: লোকসভায় দাঁড়িয়ে রেলমন্ত্রীকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। গত কয়েক মাসের মধ্যে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে যে রেলের গাফিলতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কাকলি। তাঁর প্রশ্ন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় যে সুরক্ষাকবচ চালু করেছিলেন তার অগ্রগতি কত দূর? আগের মতোই এখনও রেলের ট্র্যাক নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় কি? ফিসপ্লেটগুলি ঠিকঠাক আছে কি না তা নিয়মিত দেখা হয় কি? কাকলি ঘোষ দস্তিদারের প্রস্তাব, প্লেনের মতোই সিটবেল্ট চালু করা হোক আপার এবং লোয়ার বার্থে। কারণ দেখা গিয়েছে, শুধু ঝাঁকুনির কারণেই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন যাত্রীর। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, অদ্ভুত ব্যাপার! মানুষ টিকিট কেটে ট্রেনে উঠলেন কোথাও যাবেন বলে, আর মাঝপথে দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গেল সবকিছু! গত দু’তিন মাসে ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি দু’মিনিট নীরাবতা পালনের অনুরোধ করেন সাংসদদের। তাঁর প্রশ্ন, ট্রেনের চালক কি অন্যদের সতর্ক করতে ফ্ল্যাশ দিয়েছিলেন? তিনি মনে করিয়ে দেন, রেলের কিন্তু একটা সামাজিক দায়িত্বও আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইজ্জত টিকিট চালু করেছিলেন আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য। এখন রেল কিন্তু সেই সামাজিক দায়িত্ব পালন করে না। এয়ারপোর্ট থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ থমকে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন কাকলি যাবতীয় দুর্ঘটনার জন্য রেলমন্ত্রকের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁর বক্তব্য, যাত্রী সুরক্ষা নয়, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই বেশি ব্যর্থ হয়ে পড়ছে কেন্দ্র। সরকার টেকাতে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে তারা।
আরও পড়ুন-মৃত্যুপুরী ওয়েনাড়ে কাল তৃণমূল-দল