কুলটির ফলহারিণী কালিকা শ্বেতবর্ণা

সাধারণভাবে দেবী কালিকার গাত্রবর্ণ ঘোর কালো, সবুজ অথবা গাঢ় নীল। কালিকা পুরাণে কোথাও শ্বেতবর্ণ কালীর কথা উল্লেখ নেই।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: সাধারণভাবে দেবী কালিকার গাত্রবর্ণ ঘোর কালো, সবুজ অথবা গাঢ় নীল। কালিকা পুরাণে কোথাও শ্বেতবর্ণ কালীর কথা উল্লেখ নেই। দেবীর রূপ প্রসঙ্গে শাস্ত্রের ব্যাখ্যা, তিনি ঘোর তমোগুণ সম্পন্না, কোথাও শ্যামা, কোথাও কৃষ্ণাঙ্গী। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি লালবাজারে দেবীর রঙ সাদা। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের ল্যাটেরাইট জাতীয় পাথর কেটে সেখানেই তৈরি এই মূর্তি।

আরও পড়ুন-অবৈধ গাড়ি আটকে বেধড়ক মার খেলেন সরকারি আধিকারিক

মন্দির প্রতিষ্ঠাতা মধুময় ঘোষ বলেন, ২০০৫ সালে হঠাৎই তিনি স্বপ্নযোগে দেবীর দর্শন পান। স্বপ্নাদিষ্ট দেবীর রঙ কালো বা শ্যামা নয়, সরস্বতীর মতো শুভ্রবর্ণা। স্বপ্নে দেখা লোলজিহ্বা, খড়্গহস্তা, নরমুণ্ডমালিনী সেই মূর্তিই বাঁকুড়ার ভাস্কর শিল্পীদের দ্বারা নির্মাণ করিয়ে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন মধুময়বাবু। কুলটির এই দেবী ফলহারিণী। প্রতি বছর জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যায় দেবীর বাৎসরিক পুজো হয়। তবে কার্তিকী অমাবস্যাতেই এলাকার সকল মানুষ তাঁর পুজোয় জড়ো হন। মন্দিরের বৈশিষ্ট্য, সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষ একসঙ্গেই দেবীর প্রসাদ পান। দেবীর নিত্য অন্নভোগ হয়। সব মিলিয়ে কুলটির লালবাজারের মন্দিরে অবস্থিত শ্বেতবর্ণা মা কালী ভক্তদের কাছে আদরণীয় হয়ে উঠেছেন।

Latest article