অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কার্তিক মাসের অমাবস্যায় শ্যামাকালী, শ্মশানকালীর মতো পূজিত হন ছিন্নমস্তা কালীও (Kali Puja- Asansol)। পশ্চিম বর্ধমানের দিশেরগড়ে দামোদর নদীর তীরে মায়ের মন্দির। ১৯৮৪ সালে কুলটির সাঁকতোড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিকলাল আচার্য স্বপ্নাদেশ পান দেবী ছিন্নমস্তার মন্দির প্রতিষ্ঠার। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে ঘেরা নির্জন এলাকায় গড়েন মাটির মন্দির। ছিন্নমস্তা মায়ের প্রস্তরমূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর তিনি নিজেই শুরু করেন নিত্যদিনের পুজো। মন্দিরের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও। পরে তৈরি হয়েছে পাকা মন্দির। মাঘ মাসে মন্দিরের বাৎসরিক পুজো হয়। বসে বিশাল মেলা। এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য বা জেলার মানুষ। এই মন্দিরে প্রতি অমাবস্যায় ঘটা করে পুজো হয়। কালীপুজোয় (Kali Puja- Asansol) সকাল থেকে যেমন নিত্যপুজো হয় তেমনই অমানিশায় যথোপচারে বিশেষ পুজো অর্চনা করা হয়। পরদিন অসংখ্য ভক্ত দেবীর প্রসাদ গ্রহণ করেন। কালীপুজোর দিন বিভিন্ন মন্দিরে পশুবলি প্রথার প্রচলন থাকলেও এই ছিন্নমস্তা মন্দিরে কোনওরকম বলির প্রচলন নেই বলে জানান মন্দিরের সেবাইত ও পুজারিরা।
আরও পড়ুন-রঘু ডাকাতের কালীবাড়ি