প্রতিবেদন : কালীপুজোয় বাংলার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়ে পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার চরণপাহাড়ি মন্দিরে (Charan Pahari Kali Temple)। প্রায় ৫০ বছর আগে মুসলিম সম্প্রদায়ের (Muslim Community) এক পুলিশ আধিকারিকের হাতে এখানে পুজোর সূচনা হয়। কালীপুজোর (Kali Puja) রাতে দূরদূরান্তের হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। কথিত, বাংলা ১৩৫৭ সালে পুঞ্চা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক জিটি লতিফ এক রাতে মা কালীর স্বপ্নাদেশ পান। পরদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পাহাড়চুড়োয় একটি পাথরের উপর মায়ের পদচিহ্ন চোখে পড়ে তাঁর। এরপরই আশপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্থানে ছোট্ট একটি মন্দির নির্মাণ করেন তিনি। তারপরই শুরু হয় মন্দিরে কালীপুজো। পাহাড়ের মাথায় মায়ের পদচিহ্ন মিলেছিল বলে পরে পাহাড়টির নাম হয় চরণপাহাড়ি (Charan Pahari Kali Temple)। হিন্দু–মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের (Hindu- Muslim Community) মানুষের যৌথ উদ্যোগে সেই থেকে এখানে প্রতি বছর কালীপুজোর আয়োজন হয়। নানাজনের আর্থিক সাহায্যে মন্দিরের আকার ক্রমে বড় হয়েছে। করোনার (Coronavirus) কারণে দু’বছর সেভাবে পুজোর আয়োজন হয়নি। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্তে আসায় ফের ধুমধামের সঙ্গে পুজো হচ্ছে। দুই সম্প্রদায়ের মানুষ চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করেন। পুজোয় সর্বস্তরের মানুষ মধ্যে প্রসাদ পান। হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। পুঞ্চার চরণপাহাড়ির কালীপুজো ঘিরে উন্মাদনা সৃষ্টি হয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই। ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রীতির মিলনসুর।
আরও পড়ুন: ৪৫ দিনে ইস্তফা দিলেও বার্ষিক এক কোটিরও বেশি ভাতা পাবেন লিজ