প্রতিবেদন : কয়েকদিন বাদেই কালীপুজো। এই পুজোয় অবশ্যই প্রয়োজন গাছে ফোটা জবাফুল। সেই সঙ্গে মাতৃপ্রতিমা, মন্দির বা পুজোস্থল সাজাতে দরকার পড়ে প্রচুর কাগজের ফুলও। তাই এখন কাগজের ফুল গড়ার আঁতুড়ঘর কালনা শহর ও শহরতলির কয়েকশো মহিলা-পুরুষ মিলে রাতদিন ব্যস্ত কাপড়, প্লাস্টিক, জরি ও চায়না পেপার দিয়ে জবার মালা তৈরির কাজে। যদিও মালা ও চাঁদমালা তৈরিতে পুরুষদের থেকে মহিলা কর্মীর সংখ্যাই বেশি। পুরুষরা মূলত যুক্ত থাকেন কাঁচামাল জোগাড় এবং ও ভারী ডিজাইন তৈরির ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন-দলে সাংগঠনিক ঐক্য বজায় রাখতে কড়া বার্তা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের
এই শিল্পে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত জরি, চায়না পেপার, ফোম, থার্মোকল, রঙিন শিট পেপার, রেশম সুতো ও চুমকি ইত্যাদি আসে কলকাতা থেকে। আগের প্লাস্টিক শিট পেপারের মালার চাহিদা এবার বদলে গিয়েছে রেশমি সুতো ও চায়না লাল পেপারের জবার মালায়। পাশাপাশি আগেকার শোলা ও চুমকির চাঁদমালার চাহিদা আজকাল পাল্টে গিয়েছে রঙবেরঙের জরি, চুমকি ও থার্মোকলের পেপার ব্লকে তৈরি চাঁদমালায়। কাঁচামাল হাতে চলে আসায় কারখানাগুলিতে মালাশিল্পীদের নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। ঘরেও চলছে কাজ। ব্যাপক চাহিদা থাকায় কালনায় বেশ কয়েকটি এমন কারখানা তৈরি হয়েছে জবার মালা ও চাঁদমালার। ভিনরাজ্যেও চাহিদা আছে। ফলে অর্ডার অনুযায়ী দোকানে দোকানে মাল পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। চারিদিকে বারোয়ারি ও বাড়ির পুজো বাড়ায় নকল জবার মালার চাহিদা এখন তুঙ্গে। ফলে কালনার বেশ কয়েকশো মহিলা সংসার সামলে কাগজ-প্লাস্টিকের মালা গড়ে এই সময় ভালই রোজগার করছেন।