মল্লিকপুর গ্রামের গৃহস্থের বাড়িতে নিষিদ্ধ কালীপুজো

বৈদ্যবাটি তারকেশ্বর রোডের মল্লিকপুর গ্রামে কোনও বাড়িতেই নেই কালী ঠাকুরের ছবি। এমনকি বাড়ির দেওয়ালের ক্যালেন্ডারও কালীর ছবি লাগানো নিষিদ্ধ।

Must read

সুমন করাতি, হুগলি: বৈদ্যবাটি তারকেশ্বর রোডের মল্লিকপুর গ্রামে কোনও বাড়িতেই নেই কালী ঠাকুরের ছবি। এমনকি বাড়ির দেওয়ালের ক্যালেন্ডারও কালীর ছবি লাগানো নিষিদ্ধ। যার কারণ হিসেবে জানা যায়, সেখানে যেহেতু ডাকাত কালী মন্দির রয়েছে তাই আশেপাশের জামিনবেরিয়া , পুরুষোত্তমপুর, মল্লিকপুর গ্রামের কোনও বাড়িতে কালীপুজো হয় না। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, অসুস্থ রামকৃষ্ণদেবকে দেখতে কামারপুকুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে মা সারদার পথ আটকে দাঁড়ায় একদল ডাকাত। সেই সময় মা সারদার মুখে রক্তচক্ষু কালীর মুখ দেখতে পান ডাকাতরা। তখনই মা সারদার কাছে ক্ষমা চায় ডাকাত দল।

আরও পড়ুন-ছেঁড়া হল মুখ্যমন্ত্রীর ছবির ফ্লেক্স পুলিশে অভিযোগ যুব তৃণমূলের

রাতে নিজেদের আস্তানায় মা সারদার থাকার ব্যবস্থা করে দেয় ডাকাতরা। রাতে মা সারদাকে খেতে দেওয়া হয় চালকড়াই ভাজা। সেই থেকেই দেবীকে কালীপুজোর দিন চাল কড়াইভাজা দেওয়া হয় প্রসাদে। এই পূজোয় নৈবেদ্য হিসেবে থাকে লুচি, ফল। চার প্রহরে হয় ছাগ বলি। মন্দিরের পুরোহিত সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বছরে একবার গ্রামের শুদ্ররা ঘটে গঙ্গা জল নিয়ে আসে। সেই জল পাল্টানো হয় মন্দিরের দরজা বন্ধ করে। তখন মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ থাকে নিষিদ্ধ। কথিত আছে, ডাকাতরা মাটির কুঁড়েঘর তৈরি করে মা কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে বর্ধমানের রাজা মন্দির তৈরি করার জন্য জমি দান করেছিলেন। এরপর চালকেবাটি গ্রামের মোড়লরা স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে রীতি অনুযায়ী কালীপুজোর দিন আগে মোড়লদের পুজো হয় তারপর অন্যান্য ভক্তরা পুজো দেয়।

Latest article