প্রতিবেদন : মঙ্গলবার থেকে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মেতেছে রাজ্যবাসী। এবার পুজো পড়েছে দু’দিন। মঙ্গল ও বুধবার। বাড়ি বাড়ি চলছে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। বুধবার কালীঘাটেও হল লক্ষ্মীর আরাধনা। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজের তিথিতে কালীঘাটে বিপুল ভক্তের সমাগম হয় এদিন। নিয়ম মেনে প্রতিবছরের মতো এবারও কালীঘাটে কোজাগরী পূর্ণিমায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এদিন লক্ষ্মীরূপে কালীঘাটে পূজিতা হন মা কালী। প্রথা মেনে বুধবার বিকেলেও লক্ষ্মীরূপে পূজিত হলেন মা। দেওয়া হয় নিরামিষ ভোগ। এর আগে দুর্গাপুজোতেও প্রথা অনুযায়ী দেবী দুর্গারূপে মা কালীকে পুজো করা হয়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বিশেষ দিনে কালীঘাটে বহু ভক্তই ভিড় জমিয়েছেন। সবার হাতেই পুজোর ডালি।
আরও পড়ুন : জোড়া খুনে গ্রেফতার মহিলা-সহ দুই
এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণের কথাও মাথায় রেখেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভি়ড়ের কারণে বাড়তে পারে সংক্রমণ। তাই কালীঘাট মন্দির চত্বরে কঠোর ভাবে করোনাবিধি মানা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুজোর আগে শুক্লা চতুর্দশী তিথিকে তারামায়ের আবির্ভাব তিথি হিসাবে পালন করা হয়। মঙ্গলবার এই তিথিতেই তারামায়ের কাছে প্রার্থনা করেন অসংখ্য ভক্ত। সেদিন বিরাম মন্দিরে জীবিত কুণ্ডর জলে স্নান করিয়ে রাজবেশ পরানো হয় মাকে। এবারই প্রথম প্রথা ভেঙে খুলে দেওয়া হয় বিরাম মন্দিরের সব ক’টি দরজা। এবারও কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। তাই তারামায়ের আবির্ভাব দিবসে মাকে দর্শনের উদ্দেশ্যে ভোররাত থেকেই তারাপীঠে ভিড় জমাতে শুরু করেন অগণিত ভক্তরা। অন্য দিনের মতো এদিন দুপুরে মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়নি। দুপুরে লুচি, সুজি ও মিষ্টি দিয়ে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়।