প্রতিবেদন : কালনা ২ ব্লকের ভবানন্দপুরে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী তরুণ পানের নার্সারিতে ফলেছে প্রচুর থোকা থোকা আঙুর। সেখানে বহু মানুষ ভিড় করে দেখতে আসছেন। শুক্রবার ওই নার্সারির আঙুর চাষ ঘুরে দেখেন মহকুমা কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ। কালনার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য ও প্রশাসনের অনেক কর্তাই তরুণের নার্সারিতে আঙুর চাষ দেখে গিয়েছেন। পার্থবাবু বলেন, তরুণবাবুর প্রয়াস অন্যদের উৎসাহ জোগাবে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্র ও তামিলনাড়ুতে আঙুর চাষ হয়।
আরও পড়ুন-সাগরে ইলিশ ধরতে রওনা দিতে প্রস্তুত বেশ কয়েক হাজার ট্রলার
বাংলায় আঙুর চাষ সেভাবে শুরু হয়নি। অনেকে বাড়ির টবে বা অন্য পদ্ধতিতে আঙুর চাষ করলেও ফলন বা তার মিষ্টতা দুটোই কম। তরুণবাবু গ্রামের বাড়িতে বছরখানেক আগে শখের নার্শারি গড়ে তোলেন। সম্পূর্ণ জৈব সার দিয়ে চাষ করে মাচায় থোকা থোকা প্রচুর আঙুর ফলিয়ে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছেন। সেই আঙুর পাকতে শুরু করেছে। স্বাদেও মিষ্টি। স্ত্রী অনুপমা সময় পেলেই আঙুর গাছের পরিচর্যায় হাত লাগান। তিনি বলেন, আমরা গাছ লাগাতে ভালবাসি। ফাঁকা জায়গা দেখলেই সেখানে জমির মালিকের অনুমতি পেলে গাছ লাগাচ্ছি। তরুণবাবু বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন আজ গভীর সমস্যা। আজ অনেককে জলও কিনে খেতে হচ্ছে। তাই গাছ লাগাতেই হবে। শখে হোক বা আয়ের জন্য হোক, বাড়িতে একটু ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানেই ফল-ফুলের গাছ লাগানো খুব জরুরি। গাছকে ভালবেসেই আমার এই শখের নার্সারি করা।