ঘুরিয়ে বোসকে তোপ কল্যাণ-সুখেন্দুর

Must read

প্রতিবেদন : আইনি প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল বোসকে (CV Ananda Bose) একহাত নিলেন দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুখেন্দুশেখর রায়। বুধবার রাজ্যপালের মানহানি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের বৈধতা নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সাংবিধানিক রক্ষাকবচ মানে যা খুশি তাই করার লাইসেন্স নয়। অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, যদি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা করা যাবে না বলে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালেরও আদালতে কোনও মামলা করা উচিত নয়৷ একটি অবিজেপি রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে তিনি কিন্তু আইন, নৈতিকতা এবং সংবিধান অমান্য করছেন৷ সংবিধান প্রণেতারা কিন্তু এর কোনও রক্ষাকবচ দেননি৷ সুখেন্দুশেখর রায়ের যুক্তি, সাংবিধানিক রক্ষাকবচ কিন্তু একজন মহিলার সম্মানহানির লাইসেন্স দেয়নি রাজ্যপালকে৷ দেশের প্রধান বিচারপতির দেখানো সাংবিধানিক নৈতিকতায় বিশ্বাস রাখা উচিত সমস্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের৷ এই প্রসঙ্গেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিচারব্যবস্থা কোনও একমুখী ট্রাফিক নয়৷ এটি দ্বিমুখী৷ সংবিধানের এমন কোনও হাস্যকর ব্যাখ্যা হতে পারে না, যার ফলে সাংবিধানিক পদে থেকেও একজন প্রতিদিন অন্য একজন সাংবিধানিক পদের অধিকারীর ক্রমাগত সম্মানহানি করে যাবেন৷ এবং একজন মহিলা নির্যাতিত হয়ে সাংবিধানিক রক্ষাকবচধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনলে তাই নিয়ে কেউ সরব হতে পারবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সেই নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁকে কি জোর করে চুপ করিয়ে দেওয়া যায়?

আরও পড়ুন- বিজেপির পুরনো অফিসে আদি-নব্য হাতাহাতি-লাঠালাঠি, তুলকালাম

Latest article