প্রতিবেদন : আমি কন্যাশ্রী অনুজা ছেত্রী। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমরা থাকি আলিপুরদুয়ারের ভুটান সীমান্ত লাগোয়া কাঞ্জলি বনবস্তিতে। বাবা দিনমজুর। গাড়ি চালান। বাবা সারাদিনে যা উপার্জন করে আনেন, তাই দিয়ে সংসার কোনোমতে চলে। আমরা তিন বোন। আমিই বড়। এখন আলিপুরদুয়ার কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমাদের সংসারের যা অর্থনৈতিক অবস্থা, তাতে তিন বোনের পড়াশোনা, আমাদের কাছে বিলাসিতার মতো মনে হয়। যদি আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা না পেতাম, তবে হয়তো আমাকে পড়াশোনা বন্ধই করে দিতে হত। এই প্রান্তিক বস্তি থেকে উচ্চশিক্ষার আলোয় আসতে পেরেছি শুধুমাত্র কন্যাশ্রীর সাহায্যে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। উনি আমাদের মতন মেয়েদের কথা চিন্তা করেন বলেই,আমরা আজ এগিয়ে যেতে পারছি।