সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ : লেখাপড়ার পাশাপাশি সমাজ গড়ার লক্ষ্যেও এগিয়ে আসতে হবে পড়ুয়াদের। কারণ তারাই দেশের ভবিষ্যৎ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-যুব সমাজের উদ্দেশে বারবারই এ-কথা বলেছেন। এবার তাঁর নির্দেশমতোই এগিয়ে এল ছাত্রীরা। আর সরকারি প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা তাদের বুঝিয়ে দিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন শিক্ষক-শিক্ষকারা। তুফানগঞ্জের ধলপল উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন সরকারি দফতরে ও অফিসে নিয়ে যান তাঁরা। হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেন আইনি ও সামাজিক বিভিন্ন পরিষেবা। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ছাত্রীদের দেখানো হয়। ধলপল উচ্চবিদ্যালয়ের কন্যাশ্রীর নোডাল শিক্ষক বিজয় কোঙার ও শিক্ষিকা সোমা বর্মন কন্যাশ্রী ক্লাবের ৩০ জন ছাত্রীকে নিয়ে ধলপল পঞ্চায়েতের দফতরে যান। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীরা সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা ও কাজকর্ম নিয়ে ছাত্রীদের বুঝিয়ে দেন ও সচেতন করেন।
আরও পড়ুন : Goaয় মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে নির্বাচনী জোট তৃণমূল কংগ্রেসের
ছাত্রীদের আগ্রহ দেখে প্রশংসামুখর শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যা তনুশ্রী দাস ও প্রিয়াঙ্কা দাসের কথায়, ‘‘আমরা গ্রামপঞ্চায়েত বলতে শুধু ভোটদান, প্রধান গঠন, পঞ্চায়েত গঠন বুঝতাম। কিন্তু আজ দেখলাম এখানে বহুমুখী কর্মসূচি। এই কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার জনগণ নানা ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন। আমাদের জেনে ভাল লাগছে। আমরা খুব খুশি।’’ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহম্মদ সাজমল হক বলেন, “ছাত্রীরা নিজেদের উৎসাহে এগিয়ে এসেছে। আমরা গর্বিত। সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা ওদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।’’