প্রতিবেদন : আমি কন্যাশ্রী প্রতিমা মাণ্ডি। বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আমরা সাঁওতাল জাতি ভুক্ত। থাকি সিমলাপালের চাদঁপুর গ্রামে। পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছি। সংসারে মা আর আমি। বাড়ির কাছেই শালের জঙ্গল। শালপাতা সেলাই করে ও কয়েকটি ছাগলপালন করে মা আমাকে বিএ তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। দিদি ক্ষমতায় আসার পর চাল, আটা পাই। ‘সবুজসাথী’র সাইকেল পেয়েছি। ‘কন্যাশ্রী’র টাকায় অষ্টম শ্রেণী থেকে পড়া চলছে। বিএ তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার আগে মা জ্যোৎস্না মাণ্ডির কোমর থেকে অবশ হয়ে যায়। সেই সময় ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে দিদির দেওয়া কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা আমার হাতে আসে। আমার পড়ায় ছেদ পড়লেও চিকিৎসা করে মা এখন সুস্থ।