প্রতিবেদন : বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভের কথা শুনতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উপেক্ষা করেছেন তাঁদের। এর প্রতিবাদে বুধবার মালদহে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিলকে (kapil Moreshwar Patil- Maldah) ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। দেখালেন কালো পতাকা। স্লোগান ওঠে গো ব্যাক। এককথায়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আমজনতার মনে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটল এদিন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে ভূতনি চরের মানুষ রীতিমতো কৈফিয়ত চাইলেন বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার। আবাস যোজনা, ভাঙন প্রতিরোধ, পুনর্বাসন এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তোলেন ক্ষুব্ধ জনতা। আবাস যোজনায় কেন নাম নেই দরিদ্র মানুষের, জানতে চান মন্ত্রীর কাছে। ৩ দিনের মালদহ সফরে এসে বুধবার দুপুরে ভূতনির চর পরিদর্শনে গিয়েই গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে যান মন্ত্রী (kapil Moreshwar Patil- Maldah)। গঙ্গা ও ফুলহার নদীর মাঝে এই ভূতনির চর। ভাঙনের সমস্যায় এখানে জর্জরিত মানুষের জীবন। মন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্থানীয় মানুষের সমস্যার কথা শোনার কথা ছিল তাঁর। উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। কিন্তু তাঁরা পেলেন শুধুই উপেক্ষা। গ্রামের মানুষদের এড়িয়ে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়লেন মন্ত্রী। সঙ্গে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক এবং জেলার গেরুয়া নেতারা। বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে জনতার। মন্ত্রী পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের হওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। মন্ত্রীকে ঘিরে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁদের কেন বঞ্চিত করছে কেন্দ্র? কেন ভাঙন প্রতিরোধ এবং দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না? কেন আটকে রাখা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা? কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী। শেষে পুলিশের অনুরোধে শান্ত হন বিক্ষোভকারীরা।