প্রতিবেদন : ক’ঘণ্টা আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchanjunga express accident) ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না সিউড়ির হাটজন বাজারের কর্মকার পরিবারের চার সদস্যেরই। ওই ট্রেনে থাকা পরিবারের তিন সদস্যের কথায়, আর কখনও ট্রেনে চাপব না। কাকলি কর্মকার স্বামী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘায় (Kanchanjunga express accident) ফিরছিলেন শিলং থেকে বেড়িয়ে। তাঁর স্বামী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিউ জলপাইগুড়ি নেমে কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেলেও ট্রেনে থাকা বাকি তিনজন ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি একটু পরেই কী ঘটতে চলেছে। কাকলি দেবীরা সেদিন গভীররাতে সাঁইথিয়া স্টেশনে নেমে সেখান থেকে সিউড়ির বাড়িতে ফিরে এলেও, এখনও তাঁদের চোখে-মুখে স্পষ্ট আতঙ্ক। কাকলি দেবীর কথায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার এরকম : মেয়ে সবে ওয়াশরুমে গিয়েছে। হঠাৎই ঝাঁকুনি শুরু। ওর মাথা ঠুকে যায় আয়নায়। সবাই ছিটকে পড়ি। গোটা কামরা মুহূর্তে লণ্ডভণ্ড। তাড়াতাড়ি কোনওরকমে ট্রেন থেকে নেমেই বুঝতে পারলাম, আসলে কী হয়েছে। ট্রেনের কামরার মধ্যে সবাই কাতরাচ্ছে। কোথাও লোকালয় নেই। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পর রেল পুলিশ আর উদ্ধারকারী দল আসায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একেবারে জঘন্য রেল পরিষেবা। ওদের গাফিলতিতেই এত বড় দুর্ঘটনা। সময়মতো মেডিক্যাল টিম এলে আরও কয়েকজন হয়ত বেঁচে যেত। দেশের রেলব্যবস্থার এই হাল নিয়ে কাকলি দেবীদের মতো প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলেও। কেন বারবার রেল দুর্ঘটনা তা নিয়েও কেন্দ্রকে বিঁধছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ: বৃষ্টি আর ধসে বিপন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৃত্যু