নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইকে (B R Gavai) নজিরবিহীন ভাবে জুতো ছোঁড়ার ঘটনা গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় তোলে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দিল্লি পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই না নিয়ে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত আইনজীবী রাকেশ কিশোরকে। সেই রাকেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের হল বেঙ্গালুরুর বিধানসৌধ থানায়। প্রশ্ন উঠেছে, উপযুক্ত কারণ ছাড়াই দিল্লি পুলিশ যখন কথায় কথায় হেনস্থা করে যাকে-তাকে, এমনকী তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও আচরণ করে প্রতিহিংসামূলক, তখন প্রধান বিচারপতির উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীর এই জঘন্য আক্রমণের ক্ষেত্রে নীরব কেন দিল্লির গেরুয়া পুলিশ? এদিন আইনজীবী রাকেশ কিশোরকে সাসপেন্ড করেছে বার কাউন্সিল।
আরও পড়ুন-ভূমিধসে দুর্গতদের ঋণমকুবে অস্বীকার কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা কেরল হাইকোর্টের
এদিকে অতর্কিত সেই হামলার একসপ্তাহ পরে এদিন মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (B R Gavai)। বৃহস্পতিবার তাঁর প্রতিক্রিয়া, সোমবারের ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। পুরো বিষয়টি আমার কাছে বিস্মৃত অধ্যায়। বিচারপতি এও জানান তাঁর সহকর্মী বিনোদ চন্দ্রন ওই ঘটনায় চমকে গিয়েছিলেন। আর এক বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার মন্তব্য, সেইদিনের ঘটনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির পাশে দাঁড়িয়ে বিচারপতি ভুঁইয়া বলেন, এই বিষয়ে আমার নিজের মতামত আছে। তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি। এটা কোনও তামাশার বিষয় নয়, ওই আক্রমণ সুপ্রিম কোর্টের প্রতি অবমাননাকর। এর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সিটার জেনারেল তুষার মেহতাও এই ঘটনাকে ক্ষমার অযোগ্য বলে তুলে ধরেন। এজলাসে এই প্রসঙ্গ ক্রমশই বিস্তারিত হওয়ায় প্রধান বিচারপতি বিষয়টি থামিয়ে দেন, তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি মাথা থেকে বার করে দিয়েছি। এরপর তিনি আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।