বাংলার পানকে বিশ্বসেরা করতে উদ্যোগী, মন্ত্রীর বৈঠক চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে

রাজ্যের অন্যতম অর্থকরী ফসল পান মূলত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি উৎপাদন হয়। সেই পান দেশবিদেশে রফতানি হয়ে থাকে।

Must read

সংবাদদাতা, তমলুক : রাজ্যের অন্যতম অর্থকরী ফসল পান মূলত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি উৎপাদন হয়। সেই পান দেশবিদেশে রফতানি হয়ে থাকে। বেশ কিছু সমস্যার জন্য বাংলার পান বিশ্বের দরবারে সেভাবে জায়গা পাচ্ছে না। এবার সরকার উদ্যোগ নিয়ে বাংলার পানকে বিশ্বের দরবারে বিশেষ জায়গা দিতে উদ্যোগী হয়েছে। এই লক্ষ্যেই রাজ্যের পানচাষি ও পান ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করছেন কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। ইতিমধ্যে কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রশাসনিক কর্তা, পানচাষি ও পান ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-৬ হাজার কোটিতে হবে পাওয়ার প্ল্যান্ট, খুশি জঙ্গলমহল

শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, পান ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি ও পানচাষিদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী জানান, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক করে ঠিক করি, এবার থেকে ভাল পান গুছিতে দিতে হবে। গুছিতে ৭০টি করে পান দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের পর বেশ কিছু দাবিদাওয়া ওঠায় সেগুলিকে মান্যতা দিয়ে চাষিরা যাতে তাঁদের প্রকৃত মূল্য পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওঁদের দাবিদাওয়া শুনতে আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের ব্লকে ব্লকে বৈঠক করছি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সফলভাবে বৈঠক হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। আজ এবং আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তমলুকের নিমতৌড়ি এবং কাকটিয়া বাজারে দুটি, ২৮ ফেব্রুয়ারি খেজুরি ও দিঘায় দুটি বৈঠক করব পূর্ব মেদিনীপুরের পানচাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে। ওই বৈঠকে জেলার পানচাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবিদাওয়া গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে। বাংলার পানকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে হবে।’ পান ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রসেনজিৎ মাইতি জানান, ‘আগে ২০০/২৫০ পান দিয়ে ৫০টা পানের দাম পেতাম। এখন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় সুবিধে হয়েছে। পানের গুনগত মানের উপর যে দামে বিক্রি হবে সেই দামই চাষিরা পাবেন। মন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’

Latest article