প্রতিবেদন : আর কয়েকদিনের অপেক্ষা তারপরেই গঙ্গাসাগর মেলা। চলতি বছর কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগরে রেকর্ড ভিড়ের আশা করা হচ্ছে। তাই কোনওরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বুধবার জেলাসদর আলিপুরে মেলার নিরাপত্তার কথা জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রি, সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রাও, অতিরিক্ত জেলাশসক অভনীত পুনিয়া, প্রশান্ত রাজ শুক্লা, সাদ্দাম নাভাস, ভাস্কর পাল, সৌমেন পাল, জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার প্রমুখ৷ জেলাশাসক জানান, বাবুঘাট থেকে প্রায় ২৫০০ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে মেলায় আসার জন্য। ভিড় সামলাতে এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণ ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে৷ বাড়ানো হয়েছে ড্রপগেটের ভিড় সামলাতে ট্রাফিক লাইট লাগানো হচ্ছে, যাতে মহাকুম্ভের মতো কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। তীর্থযাত্রীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিষেবামূলক ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন-সুন্দরবনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর জরুরি সংস্কার-মেরামতির ছাড়পত্র প্রশাসনের
সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রি বলেন, গতবছর সফলতার সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা সম্পন্ন হয়েছে৷ কুম্ভমেলা না থাকায় এ বছর অতিরিক্ত তীর্থযাত্রী আগমন হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণ সহযোগিতায় বাড়তি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ মকরসংক্রান্তিতে এবারও সুষ্ঠু পরিষেবায় পুন্যার্থীরা স্নান সেরে বাড়ি ফিরবেন৷
২১টি জেটি ঘাট, ১৩টি বার্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা প্রায় ২৫০০ জন শরণার্থী বহন করতে পারবে। চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া রয়েছে ৪৫টি ভেসেল ও ১০০টি লঞ্চ৷ ১৬টি বাফার জোন, ৭টি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, মেগা কন্ট্রোল রুম, ১২০০সিসি ক্যামেরা, ২০টি ড্রোন, ৫৪ কিলোমিটার পর্যন্ত মেটাল ব্যারিকেড করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫০০ জন সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিক থাকবেন, ১৮টি ফায়ার ব্রিগেড, ফগ লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাক্সিডেন্ট ইন্সুরেন্সের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আগামী ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। ১৫০টি এনজিও সংস্থা থাকবে। ১০,০০০ ভলেন্টিয়ারকে মোতায়েন করা হবে। ৭টি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় ৫টি হাসপাতালকে মজুত রাখা হয়েছে কোনওরকম জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। এছাড়াও ১৫,০০০ পুলিশ, স্নিফার ডগ, ১৮০০ ওয়াটার ট্যাংক, ১ কোটি জলের পাউচ, ১০০টি স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

