কাগজে-কলমে বর্ষা। তাপপ্রবাহ হয়তো উধাও, তবে রয়েছে প্যাচপেচে গরম। বৃষ্টি হলেও স্বস্তি নেই। গরমের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই এয়ার কন্ডিশনার বা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের আশ্রয় খুঁজছেন। যাকে মুখের ভাষায় বলা হয় এসি। একটা সময় এসি ছিল বাহুল্য। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এখন অপরিহার্য। কারণ বছর বছর তাপপ্রবাহের ক্রমবর্ধমান দাপট। তবে একটা শ্রেণির মানুষ আজও ভয়ে পিছিয়ে যান। বিদ্যুতের খরচের কথা ভেবে। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ খরচ নির্ভর করে ব্যবহারের উপর। ফলে চিন্তার কিছু নেই। গরমের দিনে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল থাকতে নিশ্চিন্তে ঘরে এসি লাগান। দোকানে গেলেই পাবেন নানারকম দামের বিভিন্ন কোম্পানির এসি। তবে নতুন এসি কেনা এবং ব্যবহারের আগে কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় জেনে রাখুন।
আরও পড়ুন-রাজ্যকে নিটের দায়িত্ব দিতে ফের সওয়াল করলেন ব্রাত্য
এসির টন
দোকানে গেলেই বিক্রতা জানতে চাইবেন, কত টনের এসি? অনেকেই উত্তর দিতে পারেন না। মাথা চুলকোন। কেউ কেউ দোকানদারের উপর পুরোটা ছেড়ে দেন। তবে আগে থেকে জেনে রাখা ভাল, কত টনের এসিতে আপনার সমস্যা মিটবে, পাওয়া যাবে সঠিক সুবিধা। এসিতে টন হল মূলত একটি ইউনিট, যা ঘরের আকার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এসির শীতলতার ক্ষমতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এক, দেড়, দুই টন মাপের এসি রয়েছে। এই টনের পরিমাপ এসির ঠান্ডা করার ক্ষমতা বোঝায়। এটি কিন্তু লোড বোঝায় না। যত বেশি টনের এসি, তত বেশি ঠান্ডা করার ক্ষমতা। যত বড় ঘর, তত বেশি টনের এসি লাগবে। আবার ছাদের তলার ঘরে উত্তাপ বেশি, তাই সেক্ষেত্রে ১০০০ ঘনফুট ঘরের অন্তত দেড় টেন এসি লাগতেই পারে।
ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার
দোকানে সাজানো থাকে ইনভার্টার এবং নন-ইনভার্টার এসি। কোনটি কিনলে বিদ্যুতের খরচ কমানো যাবে বা ইনভার্টার এসি আর নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে পার্থক্য কী, এইরকম প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনে। একটি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর মোটামুটি তার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একবার ঘর ঠান্ডা কিংবা উষ্ণ হলে, ইনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার মেশিন শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। এটি ঘরের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা বজায় রাখতে মোটরের গতিও কমিয়ে দেয়। এছাড়াও এক ইউনিটে পৌঁছনোর আগেই ইনভার্টার এসি গ্রিড থেকে ডিসি পাওয়ারকে এসিতে রূপান্তরিত করে। যে কারণে একদিকে যেমন মেশিনের দক্ষতা বাড়ে, তেমনই সামগ্রিকভাবে এই প্রক্রিয়া বিদ্যুতের বিলও কম করতে সাহায্য করে। নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর নির্দিষ্ট গতি মেনে চলে। কম্প্রেসর চালু থাকলে ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমতেই থাকবে। ঘর বেশ ঠান্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। ফের ঘর গরম হলে সেটি ফের চালু করে দেয়। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ বেশি হতে পারে। মনে রাখবেন, ইনভার্টার এসির পার্টসের দাম নন-ইনভার্টার এসির চেয়ে একটু বেশি।
আরও পড়ুন-জিম্বাবোয়ের কাছে হার ভারতের
তাপমাত্রার কমা-বাড়া
এসি তো কেনা হল। চালানোর আগে জানতে হবে কত তাপমাত্রায় এসি চালানো উচিত। অনেকেই গরম থেকে এসে ১৬ ডিগ্রির সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এয়ার কন্ডিশনার চালু করেন। এটা করলে তাৎক্ষণিক শীতলতা পাওয়া যায়। তবে এই অভ্যাস সম্পূর্ণ ভুল। এতে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে এবং ঘরে বসে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঘরে বসে থাকা মানুষের জন্য একেবারে সঠিক। এতে স্বাস্থ্যের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব পড়ে না। বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হয়। আরেকটি কথা, কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালালে সেটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে। ১৬ ডিগ্রিতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়, এই ধারণা সঠিক নয়। আপনি যদি ১৬ ডিগ্রিতে এসি চালান, তাহলে আপনি অবশ্যই একটু ভাল ঠান্ডা অনুভব করবেন, কিন্তু এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি। ২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালালেও একই সময়ে রুম ঠান্ডা হবে। কিন্তু ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে কম্প্রেসারটি বেশি লোড হয় এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। এসির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়ানোর ফলে তিন থেকে চার শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একটানা দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন না হলে এসি বন্ধ রাখুন।
কোন মোডে চালানো উচিত
গরমে বহু মানুষ প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা এসি চালু রাখেন। বিদ্যুৎ বিল রকেটের মতো বাড়তে শুরু করে। অনেকে কিছু সময়ের জন্য এসি বন্ধ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেষ্টা করেন, কিন্তু এই সমাধানটিও খুব একটা কাজে আসে বলে মনে হয় না। তবে এসি চালানোর সময় কিছু টিপস এবং কৌশল অবলম্বন করলে অবশ্যই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। কীভাবে? এয়ার কন্ডিশনারে অনেক মোড দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় সব ধরনের এসিতে ড্রাই মোড, হিট মোড, স্লিপ মোড, কুল মোড এবং অটো মোড পাবেন। এই সব মোড বিভিন্ন অবস্থা এবং আবহাওয়া অনুযায়ী সেট করা হয়। এই মোডগুলি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এসির আয়ু বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলও বৃদ্ধি রোধ করা যায়। আপনিও যদি এসি বিল নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে আপনার এসি অটো মোডে রাখা উচিত। এই মোড বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দেবে। এয়ার কন্ডিশনারটি অটো মোডে সেট করার সঙ্গে সঙ্গেই এসির ড্রাই মোড, কুল মোড এবং হিট মোডও চালু হয়ে যায়। এসির অটো মোড তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে গতি এবং শীতলতা পরিচালনা করে। অটো মোড নির্ধারণ করে কখন এসি ফ্যান চলবে, কখন কম্প্রেসার চালু হবে এবং কখন বন্ধ থাকবে। এই মোডটি ক্রমাগত ঘরের তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করে এবং সেই অনুযায়ী এসি সামঞ্জস্য করে। যখন ঘরের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন এয়ার কন্ডিশনারটির স্বয়ংক্রিয় মোড কম্প্রেসার চালু করে এবং যখন ঘরটি ঠান্ডা হয়, তখন কম্প্রেসারটি বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে, যখন ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা থাকে, তখন এসির অটো মোড ডিহিউমিডিফিকেশন মোডকে সক্রিয় করে। এসির অটো মোড এসি একটানা চালু রাখে না, যা বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে অনেক সাহায্য করে। এই মোডটি স্প্লিট এবং উইন্ডো এসি— উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে মহিলা প্রিন্সিপালকে ঘাড় ধাক্কা, ভাইরাল ভিডিও
অফ রাখুন মেন সুইচ
অনেকেই মনে করেন, শুধুমাত্র রিমোট দিয়ে এসি বন্ধ করা হলে আর বিদ্যুৎ খরচ হয় না। কিন্তু আসলে তা নয়। মেন সুইচ অন থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হবেই। জানা যায়, এক্ষেত্রে ওই যন্ত্রের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতের ৭ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ হয় মেন সুইচ অন থাকলে। অর্থাৎ আপনার এসি যদি এক ঘণ্টায় এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে, তাহলে শুধুমাত্র মেন সুইচ অন থাকলে এক ইউনিটের ৭ থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ হবে। তাই শুধুমাত্র রিমোট দিয়ে বন্ধ নয়, অফ রাখুন মেন সুইচও। এইভাবে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল কমান।
চলুক সিলিং ফ্যানও
অনেকেই মনে করেন, এয়ার কন্ডিশনার ও সিলিং ফ্যান একসঙ্গে চালানো এসির জন্য ক্ষতিকর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণাটি সঠিক নয়। বরং এই দুটি যন্ত্র একসঙ্গে চালালে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। ফ্যান ও এসি একসঙ্গে ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয়ও সম্ভব। মনে রাখবেন, সিলিং ফ্যান ঘরের বাতাস ঠান্ডা করতে পারে না। তবে এসির ঠান্ডা বাতাস ঘরের কোণে কোণে পৌঁছে দিতে পারে। ফলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়। ফ্যান ও এসি একসঙ্গে ব্যবহার করলে এসির উপর চাপ কমে। এসি ২৬ ডিগ্রিতে দিয়ে সিলিং ফ্যান চালিয়ে দিলে ২২ ডিগ্রির মতো ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতে ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ এসি চললে বা কম তাপমাত্রায় এসি চালু রাখলে ঘর অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়। রাত হলে সেটা বোঝাও যায় না সঙ্গে সঙ্গে। এক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে ফ্যান ও এসি দুটোই হালকা করে চালিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ফ্যান এবং এসি একসঙ্গে চালিয়ে ঘর ঠান্ডা হলে এসি বন্ধ করে দিন। অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকবে ঘর।
আরও পড়ুন-পেনাল্টি পাইনি, ফুঁসছে জার্মানি
যত্নে রাখুন আউটডোর ইউনিট
বর্তমানে স্প্লিট এসির রমরমা। স্প্লিট এসি ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই ভুলে যান যে তাঁদের এসি সিস্টেমে দুটি অংশ রয়েছে। একটি ইনডোর ইউনিট এবং অপরটি আউটডোর ইউনিট। আউটডোর ইউনিট সব পরিস্থিতিতে চালানোর জন্য তৈরি করা হয়। সে ঠান্ডাই হোক বা গ্রীষ্ম, বর্ষা। এই আউটডোর ইউনিট ভাল রাখতে বিশেষ কিছু পদ্ধতি মেনে চলা প্রয়োজন। কারণ আউটডোর ইউনিটই, ইনডোর ইউনিট থেকে আসা গরম হাওয়াকে ঠান্ডা করে। আউটডোর ইউনিটের কনডেন্সার কয়েল নোংরা হতে পারে, এছাড়া সেটি সিস্টেমকে অতিরিক্ত গরমও করতে পারে। এমন অবস্থায় এসির আউটডোর ইউনিটের ময়লা এবং কয়েল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা খুবই দরকার। এসির আউটডোর ইউনিটকে প্রভাবিত করে রোদ। এটির কার্যকারিতা হ্রাস করে এবং ঠান্ডা করার ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয়। তবে সেটা নিজের কাজ বন্ধ করে না। এই ক্ষেত্রে, আউটডোর ইউনিট ছায়ায় রাখার চেষ্টা করা উচিত। শেড দেওয়ার পদ্ধতিও রয়েছে। আউটডোর ইউনিটের চারপাশের বাতাস ঠান্ডা থাকে বলে এটাকে বেশি কাজ করতে হয় না। ফলে, শেড এমন হওয়া উচিত যা আউটডোর ইউনিটের বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করবে না। এছাড়া, এর ফলে এসির ফ্যান এবং আউটডোর ইউনিটের অন্যান্য উপাদানগুলিও নিরাপদ থাকবে। বাঁচবে বিদ্যুতের বিলও। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জির তথ্য অনুযায়ী, গাছের মাধ্যমে এয়ার কন্ডিশন মেশিনের আউটডোর ইউনিটকে ছায়া দিলে তার কার্যকারিতা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।
পকেট এসি
শুধুমাত্র চার দেয়ালের মধ্যে নয়, গরমকালে ঘরের বাইরে বেরলেও শীতল থাকবে শরীর। তার জন্য আছে পকেট এসি। একাধিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এই এসির নাম সনি রিওন পকেট ৫। এতে রয়েছে বিশেষ থার্মো মডিউল সেন্সর, রিওন পকেট ট্যাগ, অ্যাপ সাপোর্ট এবং অটো ফাংশন। খুব সহজেই এটি পরা যায়। একবার সুইচ টিপলেই হু-হু করে খেলে যাবে ঠান্ডা হাওয়া। জামার পিছনে অর্থাৎ কলারে ঝুলিয়ে দিতে হবে এই এসি। সম্পূর্ণ ক্লাইমেট কন্ট্রোল ফিচার রয়েছে এতে।
পোর্টেবল এসি
বাজারে এসেছে এক উন্নত মানের পোর্টেবল এসি। যে এসি বেডরুম থেকে কিচেন, ডাইনিং রুম সব জায়গাতেই সহজেই সরানো যাবে। ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের প্রযুক্তি। যা ঠান্ডা বাতাস দিতে অত্যন্ত কার্যকরী। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল চাকার ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে সহজেই এই এসি যেকোনও জায়গায় ফিট করা যায়। এর জন্য বাড়ির কোনও জায়গার সৌন্দর্য নষ্ট করে গর্ত করতে হয় না। তবে সেট করার আগে আউটডোর সেটিংস চেক করে নিতে হয়। ঘরের আয়তনের দিক থেকে এই এসি বেশ উপযুক্ত। এই নতুন এসির ক্যাপাসিটি রয়েছে ১.৫ টন। সারা দেশ জুড়েই পাওয়া যাচ্ছে।
এসি বিস্ফোরণ
শীতকালে এসি ব্যবহার করা হয় না। গরমের শুরুতে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করেই চালানো হয়। এর ফলে কোনও কোনও সময় এসির বিস্ফোরণ ঘটে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বছরে অন্তত তিনবার এবং বিশেষভাবে শীতকালের শেষে এসির মেইনটেনেন্সের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এসির সার্ভিসিং নিয়মিত করা না হলে এসির পাইপলাইন এবং গ্যাস সিলিন্ডারে ব্লক তৈরি হয়। এতে গ্যাস প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং একটা পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া দু’-তিনমাস এসি না চালানোর কারণেও লিকুইড বাষ্প হয়ে যায়। সেই অবস্থায় এসি চালানো হলে কম্প্রেসারে বেশি চাপ পড়ে। এখান থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। এছাড়াও একেকটি এসি বসাতে ভবনের বাইরে যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সেই পরিমাণ জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। একটা মেশিনের গরম আরেকটা মেশিনে ছড়িয়ে পড়ছে, যেখান থেকে বিস্ফোরণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন-জিম্বাবোয়ের কাছে হার ভারতের
রক্ষা পাওয়ার উপায়
বিস্ফোরণের হাত থেকে বাঁচতে এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। ভাল মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার কেবল ব্যবহার করা। কম্প্রেসারে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার পরীক্ষা করা। এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, তা দেখা। কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না, তা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। কম্প্রেসারের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা। সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা। কম্প্রেসারে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা। বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্রেসার এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা। নিম্নমানের অখ্যাত বা নকল ব্র্যান্ডের এসি ও কম্প্রেসার কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা। এইগুলো মেনে চললে বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।