প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের ছায়া কেরলেও। রাজ্যের পিনারাই বিজয়ন সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। ঘটনার জেরে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরাতে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল কেরলের বাম সরকার। বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব এনে রাজ্যপালকে তাঁর পদ থেকে সরানোর জন্য ভোটাভুটি হয় কেরলে (Kerala Assembly)। ভোটাভুটিতে পাশ হয়েছে প্রস্তাবটি। বুধবারের এই ভোট প্রক্রিয়ায় কেরল বিধানসভার অধিকাংশ বিধায়কই উপস্থিত থেকে প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন। বেশ কিছুদিন ধরেই কেরল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। তার প্রেক্ষিতেই বিধানসভায় রাজ্যপালের অপসারণ নিয়ে বিল আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেরল সরকার। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
বিজেপি ও মোদি-শাহর অঙ্গুলিহেলনে গোটা দেশেই প্রায় সব অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের বিবাদ লেগেছে। বিরোধীরা সাফ জানিয়েছে, রাজ্যপালরা কেন্দ্রের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। কেরলে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের সঙ্গে বাম সরকারের বিরোধ চলছিল। বর্তমানে তা চরম আকার নিয়েছে।
আরও পড়ুন-বেকারি বাড়ছে তবু অসমে ৮ হাজার শিক্ষক পদ বাতিল করল বিজেপি
সম্প্রতি কেরলের (Kerala Assembly) ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদত্যাগ করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল। আর তাতেই যেন ঘি পড়ে বিরোধের আগুনে। পিনারাই বিজয়নের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এ জন্য শীঘ্রই অর্ডিন্যান্স আনতে চলছে বিজয়ন সরকার। দক্ষিণের আর এক অবিজেপি রাজ্য তেলেঙ্গানাতেও রাজ্যপালের সঙ্গে সেখানকার ক্ষমতাসীন টিআরএস সরকারের বিরোধ চলছে। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে। কেরলে আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে সেই চেয়ারে কোনও শিক্ষাবিদকে বসাতে চায় বিজয়নের সরকার। কেরলের বাম সরকারের এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবেই রাজ্যপাল আরিফের সঙ্গে বিরোধ আরও বাড়বে। আগামী দিনে বাম সরকার ও রাজ্যপালের এই লড়াই কোন পর্যায়ে পৌঁছয় সেটাই এখন দেখার। এর আগে পশ্চিমবঙ্গেও পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আচার্য পদ থেকে সরাতে বিল এনেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।