বাবা ধর্ষণ করেছে নিজের মেয়েকে- এই নিকৃষ্টতম ঘটনার মামলায় দৃষ্টান্তমূলক বক্তব্য রাখল কেরল হাইকোট। এদিন শুনানিতে জানানো হয়েছে, কোনও মহিলা যদি যৌনতায় অভ্যস্তও থাকেন, তবুও তাঁকে ধর্ষণের অপরাধ কোনমতেই লঘু করে দেখা যাবে না। প্রসঙ্গত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার নিজের কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ করা হয় আর এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়। তার শুনানিতেই বিচারপতি এই কথা জানিয়ে দিলেন। আসামীকে ধর্ষণের মামলায় ১২ বছর এবং পকসো আইনে ১৪ বছর কারাবাসের সাজা কেরল হাইকোর্টের।
জানা যায় দিনের পর দিন নিজের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তের দাবি, তার মেয়ে স্বীকার করেছে সে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। আর সেই সম্পর্কের কারণেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে দাবি করে ওই ব্যক্তি। এর জবাবেই বিচারপতি আর নারায়ণ পিশরাড়ি জানিয়ে দেন, যদি দেখা যায় কোনও মহিলা নিয়মিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত, তবুও তাঁকে ধর্ষণ করার অপরাধ লঘু করে দেখানো যায় না। সেই সঙ্গে আদালত জানায়, ২০১৩ সালে জন্ম নেওয়া নির্যাতিতার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে শিশুটির আসামীই।
শুনানিতে বিচারপতি বলেন, সময় কোনও অরণ্যরক্ষীর চোরাশিকারী হয়ে ওঠা কিংবা সরকারি কোষাগারের রক্ষীর ডাকাতি করার চেয়েও নিকৃষ্ট অপরাধ কোনও বাবার নিজের মেয়ের ধর্ষক হয়ে ওঠা। সন্তানের নিরাপদ আশ্রয় হল বাবা। তাই বাবা যদি নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে তবে তার থেকে নিকৃষ্ট অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ধর্ষণের মামলায় ১২ বছর এবং পকসো আইনে ১৪ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট।